দুই কিশোরকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, ৫যুবক কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
রিফাত হোসাইন সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৬ই অক্টোবর ২০২২ ০৭:১৩ অপরাহ্ন
দুই কিশোরকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, ৫যুবক কারাগারে

নওগাঁর সাপাহারে রাস্তা থেকে দুই কিশোরকে অপহরণ করে তাদের পরিবারের কাছে থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। বিষয়টি জানার পর অভিযান চালিয়ে ৫ অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ।


বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বেলা১২টার দিকে জেলার পতœীতলা উপজেলার নজিপুর সরদারপাড়া মোড়ে এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় অপহৃত দুই কিশোরকে উদ্ধার করেছে সাপাহার থানা পুলিশ।


আটককৃতরা হলেন, জেলার পতœীতলা উপজেলার হরিরামপুর কলেজ পাড়ার নওশাদ আলীর ছেলে মামুনুর রশিদ মামুন (৩০), নজিপুর পলিপাড়ার এলাকার মেসবাউল হকের ছেলে আব্দুস সোবাহান খোকন (২৪), নজিপুর মাদ্রাসা পাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে মাহমুদ হাসান সোহাগ (২৭), নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুরের মোরশেদ আলমের ছেলে নাহিদ হোসেন (২০), দিঘা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম (২৯)। 


থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল (বুধবার) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে সাপাহার উপজেলা সদরের ওয়ালটন মোড় সংলগ্ন আদি ইসলামিয়া হোটেলের সামনে পাকা রাস্তা থেকে উপজেলার বৈকন্ঠপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে মারুফ হোসেন (১৫) ও তার বন্ধু কলমুডাঙ্গা গ্রামের জাইবুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান (১৬) কে ৫জন মিলে মাইক্রোতে করে চোখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অপহৃত মারুফের বাবা কাছে মোবাইল ফোনে ১ লাখ টাকা মুক্তিপন চাওয়া হয়। ছেলের জীবনের কথা চিন্তা করে দুইটি মোবাইলে ৫ হাজার করে ১০ হাজার দেয় রমজান আলী। পরবর্তীতে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান রমজান আলী। বিষয়টি জানার পর বৃহস্পতিবার বেলা বেলা ১২টায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ।


সাপাহার থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, দুই কিশোরকে অপহরণের ঘটনাটি জানার পর আমরা অভিযান শুরু করি। পতœীতলা উপজেলা থেকে তাদের আটক করা হয়। অপহৃত কিশোর মারুফ হোসেনের বাবা রমজান আলী অপহরণ ও মুক্তিপন আদায়ের জন্য বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে বিকেলে কারাগারে  পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।