গাইবান্ধায় আমগাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃনাল চন্দ্র দাস (২৪) ও সুমন চন্দ্র দাস (২৩) নামের দুই যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। রোববার দুপুরে গাইবান্ধা পিবিআই’র পুলিশ সপুার এ আর এম আলিফ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
পিবিআই’র পুলিশ সপুার বলেন, ১২ আগস্ট সকালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের পশ্চিম পিয়াপুর মাঝিপাড়ার একটি আমগাছ থেকে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃনাল চন্দ্র দাস ও সুমন চন্দ্র দাসের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হলে মামলার তদন্তের দায়িত্বভার নেয় পিবিআই। পিবিআই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে মামলার আসামি প্রদীপ চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় সহযোগীতায় ছিল নিতাই চন্দ্র দাস। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা এ আর এম আলিফ আরো বলেন, একই রশিতে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর নিহত মৃনাল কান্তি দাস ও সুমন কান্তি দাসের বন্ধু প্রদীপ চন্দ্র দাসকে আটক করলে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। নিহত সুমন দাসের মায়ের সাথে বন্ধু নিতাই চন্দ্রের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সে এই সম্পর্কের বিষয়ে জেনে ফেলায় ও প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে দুই বন্ধুকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে নিতাই ও প্রদীপসহ ৪ থেকে ৫ জন। ঘটনা আড়াল করতে লাশের পাশে তোয়ালে, ছবি ও ব্যাগ রেখে যায় তারা।
উল্লেখ্য, গত ১২ আগস্ট সকালে সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের পশ্চিম পিয়ারাপুর মাঝিপাড়ার একটি আমগাছে মৃনাল চন্দ্র দাস ও সুমন চন্দ্র দাসকে রশি দিয়ে ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।