প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৫৬
জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শীর্ষ ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(১) ধারা ও ২০০৭ সালের বিধিমালার আলোকে কর্মকর্তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত ফরমে তাদের সব তথ্য জমা দিতে হবে।
যে ১৭ কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন কর কমিশনার, আপিল ট্রাইব্যুনালের কমিশনার, আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট, ভ্যাট গোয়েন্দা বিভাগ, কর অ্যাকাডেমি ও কাস্টমসসহ বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
এর আগে গত জুলাই মাসে এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল দুদক। অভিযোগে বলা হয়, কতিপয় কর্মকর্তা ঘুষের বিনিময়ে কর ও শুল্ক ফাঁকির সুযোগ দিয়েছেন। এর ফলে প্রতিবছর সরকার বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, কিছু কর্মকর্তা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকির মিথ্যা মামলা করে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করেছেন। আবার যারা বেশি কর দিয়েছেন তাদের টাকা ফেরত পেতে ঘুষ দিতে হয়েছে। এতে একদিকে করদাতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে কর্মকর্তারা অবৈধ সম্পদ অর্জন করছেন।
গত কয়েক বছর ধরে দায়িত্বে থেকে এসব কর্মকর্তা স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধভাবে সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে দুদক এবার সরাসরি তাদের সম্পদের হিসাব চাইছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এনবিআর বিলুপ্ত করে নতুন দুটি বিভাগ গঠন করেছে সরকার। এ নিয়ে কয়েক দফায় আন্দোলনও করেন কর্মকর্তারা। আন্দোলন শেষে অনেক কর্মকর্তা সরকারের নজরদারির আওতায় এসেছেন এবং দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দুদক বলছে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুধু নির্দিষ্ট কয়েকজন নয়, সার্বিকভাবে এনবিআরের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।