সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি জেনারেল (ডিজিএম) ম্যানেজার প্রদীপ কুমার শর্মা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে ব্যাংকে চাকরি নিয়েছেন।
এরপর ৩১ বছরে বেতন-ভাতা এবং ঋণসহ ১ কোটি সাড়ে ৩১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আজ মঙ্গলবার আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম আজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি প্রদীপ কুমার শর্মা মুক্তিযোদ্ধার কোনো সুনির্দিষ্ট দালিলিক প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি। তিনি ১৯৮৩ সালের ১৭ মার্চ এক প্রত্যয়নপত্রের ফটোকপি ব্যবহার করে ১৯৮৪ সালের ১৫ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে চাকরিতে যোগ দেন।
চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থীদের বয়স ছিল ৩০ বছর। ওই তারিখে তাঁর বয়স ছিল ২৯ বছর ৪ মাস ২৯ দিন। প্রদীপ কুমারের জন্ম ১৯৫৪ সালের ১ জুলাই।
দুদক অভিযোগপত্রে বলেছে, প্রদীপ কুমার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ১৯৮৪ সালে ১০ জুলাই চাকরিতে যোগদান করেন।
২০১৪ সালের ৩০ জুন অবসরের তারিখ পর্যন্ত সোনালী ব্যাংক থেকে বেতনবাবদ ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৪ টাকা, উৎসব বোনাসবাবদ ৮ লাখ ৮ হাজার ২৪৭ টাকা, উৎসাহ বোনাসবাবদ ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৫ টাকা, কর্মচারী গৃহনির্মাণ বাবদ ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ৬৬৬ টাকার ঋণসহ মোট ১ কোটি ৩১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮৩ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি প্রদীপ কুমার শর্মা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সোনালী ব্যাংকে চাকরি সমাপ্ত করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছেন। একই সঙ্গে জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক অসদাচরণ ও অপরাধ করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।