গুজব একটি ভয়ঙ্কর সামাজিক সমস্যা, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষকে অন্ধভাবে আকৃষ্ট করে। সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুজবের নতুন একটি উদাহরণ সামনে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে ‘হিযবুত তাহরীর’ বা অন্য কোন নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট-চেকিং পেজ।
সোমবার (৪ নভেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য প্রকাশ করে প্রেস উইং জানায়, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মাহফুজ আলমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যা প্রকৃতপক্ষে ভিত্তিহীন। গুজবের ভিত্তি হিসেবে ইংরেজি দৈনিক 'দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড'-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধের স্ক্রিনশট ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে ‘আবদুল্লাহ আল মাহফুজ’ নামক এক ব্যক্তিকে ‘হিযবুত তাহরীর’ সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয় যে, অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মাহফুজ এবং মাহফুজ আলাম দুটি ভিন্ন ব্যক্তি। এই বিভ্রান্তি সম্পর্কে দৈনিক আজকের পত্রিকার ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিটও রবিবার (৩ নভেম্বর) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মাহফুজ আলম ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং বর্তমানে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে কাজ করছেন। তার সম্পর্কে ছড়ানো এই গুজব জাতীয় নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি স্বরূপ।
গুজব প্রতিরোধের লক্ষ্যে সরকারী উদ্যোগ এবং জনসাধারণের সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য যাচাইয়ের আগে যাচাই-বাছাই করা উচিত। গুজবের এই প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য সাংবাদিকতা এবং জনমতকে সঠিক পথে পরিচালিত করা জরুরি।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে তারা অসত্য তথ্যের পেছনে না ছুটে যান। প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হলো সঠিক তথ্য প্রচার এবং গুজবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।