সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরা। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় দিন দিন বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা। কয়েক দিন ধরে শানাক্ত হচ্ছে করোনা রোগি, সেই সাথে বেড়ে চলেছে করোনা শানাক্তের হার।
অপর দিকে আইসেলেশনে থাকার ভয়ে করোনার নমুনা দিতে ভয় পাচ্ছেন এলাকার মানুষ।
এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত ১২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরন করেছেন ৫ জন। আশাশুনি উপজেলা ভোমরা সীমমান্ত বর্ত্তী হওয়ায় বৈধ অবৈধ ভাবে ভারতে যাতায়াতের হার অনেক বেশী। করোনায় আক্রান্তরা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট উপসর্গ আছে কিনা জানা যায় নি।
বর্তমানে জ্বর,সর্দি,কাশিতে আক্রান্ত রোগিরা অনেকেই জানান,আগের তুুলনায় এ জ্বরের প্রকোপ অনেক বেশী। জ্বরের সাথে সমস্ত শরীরের মাংসপেশী ও হাড়েরর জয়েন্টে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। কাশিতে বুক ব্যাথা হচ্ছে। অনেকের শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে, যা প্রাথমিকভাবে করোনার লক্ষণ ভেবে অনেকেই আইসোলেশনের ভয়ে গোপনে পল্লীচিকিৎসকের শরনাপন্ন হচ্ছেন।
পল্লীচিকিৎসক আবু হেনা বলেন, আমাদের কাছে জ্বরের চিকিৎসা নিতে আসা রোগির সংখ্যা অনেক বেশী। তবে একটু সচেতন লোকজন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে গেলেও আইসোলেশনের ভয়ে নমুনা দিচ্ছেন না তারা।
এদিকে করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউয়ের ছোবলে আশাশুনির সকল ইউনিয়ন এখন রোগিতে রোগিতে ভরতে শুরু করলেও সরকারি-বেসরকারি কোন পর্যায়ে তেমন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছেনা। করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসলেও লকডাউন ঘোষণা করে সাইনবোর্ড স্থাপন ও বিধিনিষেধ কড়াকড়ির কোন কার্যক্রম না দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
তাছাড়া করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে বাইরের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, পরিবারের সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে শৈথিল্যতা ও কড়াকড়ি তেমন নেই বলে এলাকার মানুষ অভিযোগ করেছেন।
যাঁরা করোনা উপসর্গ নিয়ে ইন্তেকাল করেছেন তাদের বাড়ি লাল পতাকা টানিয়ে লকডাউন করা, সংস্পর্শে আসাদের কোয়ারিনটিনে রাখা ও পার্শ্ববর্তীদের সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কাজও যথাযথ হয়নি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেকভাল করার জন্য সচেতনমহল যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন । উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে,এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১২৫ জন করোনা শানাক্ত হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।