কুয়াকাটায় জেলেদের জন্য জরিপ ও নিবন্ধন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় উপজেলা পর্যায়ে যৌথভাবে DOF এবং MMO এর উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ে বেসলাইন জরিপ ও নৌকা নিবন্ধন বিষয়ক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে হোটেল মিয়াদ ইন্টারন্যাশনালে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তারা এবং শতাধিক জেলে অংশগ্রহণ করেন।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এই কর্মশালার আয়োজন করেন এবং সাসটেইনেবল মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের অর্থায়নে এটি পরিচালিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে মৎস্য অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগের পরিচালক মোঃ আলফাজ উদ্দীন শেখ উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বরিশাল বিভাগের উপ-প্রকল্প পরিচালক এস এম আজহারুল ইসলাম বক্তব্য প্রদান করেন। পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন।

কর্মশালায় সামুদ্রিক মৎস্য নৌযান ব্যবস্থাপনা, সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ জনসম্পৃক্তকরণের বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়। এছাড়া সামুদ্রিক আইন সম্পর্কে জেলেদের অবহিত করা এবং অনুমতিপত্র ও রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করা হয়। মৎস্য নৌযানগুলোর তথ্যভাণ্ডার তৈরি ও ডাটাবেইজে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাও তুলে ধরা হয়।

জেলেরা কর্মশালায় সমুদ্রে অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধ, দুর্যোগকালে ঝুঁকিপূর্ণ জেলেদের জন্য সরকারিভাবে জলযান ও রেসকিউ টিম গঠনের দাবি জানান। তারা মনে করেন, এসব ব্যবস্থা নিলে তাদের জীবিকা নিরাপদ ও উন্নত হবে।

এই কর্মশালার মাধ্যমে মৎস্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্টরা সামুদ্রিক সম্পদের গুরুত্ব এবং সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এক নতুন ধারা গড়ে তুলতে চায়। তারা আশা করেন, দীর্ঘমেয়াদে এই ধরনের উদ্যোগ সমুদ্র ও উপকূলীয় মৎস্যসম্পদ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

পটুয়াখালীর মৎস্য সম্প্রদায়ের উন্নয়নে এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য নিয়মিত এ ধরনের কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা থাকছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। তারা আশা করছেন, জেলেদের নিবন্ধন ও তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হবে এবং এর মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের কল্যাণে নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

এছাড়া কর্মশালায় উপস্থিত বিভিন্ন মৎস্য কর্মকর্তা ও প্রকল্প প্রতিনিধিরা ভবিষ্যতে আরও সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। ফলে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জীবিকা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।