প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ১৬:৪
কক্সবাজারের টেকনাফে যৌথ অভিযানে কোস্ট গার্ড ও র্যাব সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জঙ্গলের ভেতর থেকে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত দ্রব্যের মধ্যে ছিল এক লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, এক কেজি ইয়াবা তৈরির সম্ভাব্য কাঁচামাল ও এক কেজি ক্রিস্টাল মেথ বা আইস।
বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে টেকনাফের মহেশখালীয়া পাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে হ্যাচারি সংলগ্ন একটি এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। কোস্ট গার্ড স্টেশন টেকনাফ ও র্যাব-১৫ (সিপিসি-১) যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। অভিযানে র্যাবের ডগ স্কোয়াডের সহযোগিতায় গোপন স্থানে মাটির নিচে পুঁতে রাখা একটি হলুদ রঙের বস্তা সনাক্ত করা হয়।
বস্তাটি খুঁড়ে বের করার পর তাতে থাকা বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও আইস দেখে অভিযানকারী সদস্যরা বিস্মিত হন। উদ্ধার করা মাদকের বাজারমূল্য আনুমানিক ১২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বলে নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ।
তিনি আরও বলেন, দেশে মাদকদ্রব্যের বিস্তার রোধে কোস্ট গার্ড সর্বদা তৎপর রয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় ও সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে কোস্ট গার্ড। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি দেশের যুবসমাজকে মাদকের ছোবল থেকে বাঁচাতে এসব অভিযানের গুরুত্ব অপরিসীম।
এই অভিযানে ব্যবহৃত ডগ স্কোয়াড ছিল অত্যন্ত কার্যকরী। বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের সাহায্যে জঙ্গলের গভীর স্থানেও লুকানো মাদকদ্রব্য শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
অভিযান সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ইয়াবা তৈরি ও পাচারের একটি গোপন চক্র সক্রিয় রয়েছে, যারা জঙ্গলের ভিতর এমন সৃষ্টিশীল উপায়ে মাদক লুকিয়ে রাখে যাতে সাধারণ অভিযানকারীরা সহজে তা ধরতে না পারেন।
তবে কোস্ট গার্ড আশ্বাস দিয়েছে যে, ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে এবং মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ চালিয়ে যাবে। এই অভিযান টেকনাফ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের একটি সফল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।