বরিশালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা পার্ক ভাঙচুর করেছে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুটি স্থাপনায় উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়, যেখানে উল্লিখিত স্থানগুলোর ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে। এই সময় ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ বিরোধী স্লোগান দেয় এবং ভাঙচুর কার্যক্রম পরিচালনা করে।
প্রেসক্লাবের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এবং চৌমাথা লেকের পাড়ে অবস্থিত সাহান আরা পার্ক ভাঙচুরের ঘটনায় উপস্থিত এক শিক্ষার্থী জানান, এই ভাস্কর্যকে তারা কখনো মেনে নিতে পারেন না, কারণ এটি “খুনি হাসিনার পিতার ভাস্কর্য” হিসেবে তাদের কাছে চিহ্নিত। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ৪শ কোটি টাকা খরচ করে এই ভাস্কর্য নির্মাণ করেছে এবং সাধারণ মানুষের পকেট থেকে টাকা চুরি করেছে। ওই শিক্ষার্থী দাবি করেন, “স্বাধীন দেশে কোনো ভাস্কর্য বা আর্টিফিসিয়াল কিছুই থাকবে না”।
এছাড়া, তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ যে মুক্তিযুদ্ধ করেছে তা ভাস্কর্য দিয়ে নয়, বরং সেই সময়ের অপরাধীদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ব্যবস্থা নিতে হবে।” এমনকি, তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সব বাড়িঘর এবং ভাস্কর্য বিলুপ্ত করে দিল্লিতে পাঠানোরও দাবি করেন।
একই সময়, সাহান আরা পার্কের উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাদিক আব্দুল্লাহ তার মায়ের নামে পার্কটি গড়ে তুলেছিলেন, যা সড়ক ও জনপথের জমি দখল করে করা হয়েছিল। পার্কটি সম্পর্কে স্থানীয়দের মধ্যে আপত্তি ছিল। তাই ছাত্র-জনতা বুলডোজার দিয়ে পার্কটি ভাঙচুর শুরু করে। তারা দাবি করেন, “আমরা আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চাই, এবং বাংলায় আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব থাকতে দেওয়া হবে না।”
এসময়, কিছু ছাত্র-জনতা “চব্বিশের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না” শ্লোগান দেয়।
যদিও কেন্দ্রীয় ছাত্রদল তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে যে, তারা এই ধরনের কোনো ঘটনায় জড়িত নয়। স্থানীয় নেতারা জানান, তারা যদি কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা পান তবে তারা বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলবেন, তবে বর্তমানে এই ঘটনায় ছাত্রদলের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।