১৯৫১ সাল থেকেই চীনে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা (পিটি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগে দেশটির সরকারি কারখানা ও অফিসেও দিনের শুরুতেও সবার জন্য বাধ্যতামূলক ছিল। প্রতিদিন সকালে ডান-বাম, বাম-ডান মার্কা পিটি প্যারেডটা একঘেঁয়েমি লাগছিল শিক্ষার্থীদেরতো বটেই, প্রধান শিক্ষকেরও। চীনের সানশি প্রদেশের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জ্যাং পেংফেই তাই দিলেন সব উল্টাপাল্টা করে। পিটির সময় গানের তালে তালে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু নাচলেন। জ্যাংয়ের ওই নাচের নামও জানা গেল- ‘গুইবু’ বা ‘ভুতুড়ে নাচ’। এতে কাজও হলো একশোতে একশো। শিশুরা মজাও পেল আর শরীরচর্চাটাও হয়ে গেল। খবর রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যম আরটির।
সেখানে দেখা যায় প্রধান শিক্ষক নিজের সহকর্মীদেরও ওই একই ঢঙে নাচিয়েছেন। শি গুয়ান নামের ওই স্কুলে এখন এভাবেই শরীরচর্চা হয় নিয়মিত। আর ওই ধরনের শরীরচর্চার ভিডিও এরইমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। গত শুক্রবার পোস্ট করা ভিডিওটি চারদিনে আড়াই কোটিবার দেখা হয়েছে। একঘেঁয়েমি কাটানোর জন্য গত বছরের নভেম্বর থেকে নতুন পদ্ধতি চালু করেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক জ্যাং। নতুন এই নাচের আইডিয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সামনে আনার আগে তিনি নিজে বেশ কিছু দিন চর্চা করে নেন। শুরুতে স্কুলটির অর্ধেক শিক্ষক এর বিরোধিতা করেন। কারণ, সরকারের শিক্ষা বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা হঠাৎই পরিদর্শনে যান। ওই সময় শারীরিক কসরতের নিয়ম না মানার কারণে সাজা হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।