চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করবে ভারত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ২রা ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:৫৭ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করবে ভারত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিগত দশ বছরে এই অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে বিভিন্নমূখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সে লক্ষ্যে সরকার প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে আন্ত:সংযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারত হতে পণ্য আমদানী-রপ্তানীর জন্য এসপিও স্বাক্ষরিত হয়। ফলে ভারতীয়গণ আমদানী রপ্তানীর জন্য এ বন্দর দু’টি ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করছি, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যসমূহ এ সুযোগ গ্রহণ করবে। অদূর ভবিষ্যতে নেপাল ও ভুটানও আমাদের বন্দর ব্যবহারের সুযোগ গ্রহণ করবে। এমনকি চীনের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যসমূহ এ বন্দরদ্বয় ব্যবহার করতে চাইলে আমরা স্বাগত জানাব।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে আজকের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে নুরুন্নবী চৌধুরী ভোলা-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতকে সড়ক ও রেলপথে পণ্য পরিবহনের সুবিধা প্রদানে বাংলাদেশ সম্মত হয়। এই সুবিধা প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল ও ভূটানকে প্রদানেও বাংলাদেশ সম্মত হয়। 

তিনি আরো জানান, ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সুদৃঢ় রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীও বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ নিয়েছেন। তিনি আরো জানান, সাফটা নেগেটিভ লিস্টের ২৫ ধরনের আইটেম ব্যতীত ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানীতে গতিশীলতা এসেছে।  

বিশ্বের ৩১টি মিশনে ভবন নির্মাণ হবে: সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের (ঢাকা-২০) লিখিত প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যে সকল দেশে বাংলাদেশের চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, সে সব দেশে চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ/ক্রয়ের নিমিত্তে স্ট্যান্ডার্ড ডিজাইন ভিত্তিক একটি বৃহৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য দূতাবাস সমূহের কূটনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১৬ সাল হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে ৩১টি মিশনে নিজস্ব চ্যান্সারি ও রাষ্ট্রদূত ভবন নির্মাণ/ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ে রিয়াদ ও টোকিওতে নিজস্ব চ্যান্সারি ও রাষ্ট্রদূত ভবন নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব