ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বৃহত্তর স্বার্থে লোডশেডিং বন্ধ ছাড়াও মার্কেট, বিপণিবিতান ও দোকানপাট রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর মগবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলে পরিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখলে একদিনে জ্বালানি সাশ্রয় হয় নয় কোটি ২০ লাখ টাকার। কিন্তু একদিন দোকানপাট বন্ধ রাখলে ক্ষতি হয় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা। সেই হিসেবে রাত ৯টার পরিবর্তে রাত ৮টায় দোকান বন্ধ রাখলে অর্থাৎ এই এক ঘণ্টায় ক্ষতি হয় ১৬০ কোটি টাকা। কিন্তু বাস্তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। কারণ মার্কেট, বিপণিবিতান ও দোকানগুলোতে বেচাকেনা শুরু হয় মূলত সন্ধ্যার পর।
দৈনিক এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং দেশের ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, বর্তমানে রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করা হয়। এই সময় রাত ৯টা পর্যন্ত করার দাবি জানাচ্ছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ব্যবসাবান্ধব বাংলাদেশ গড়ার পথে এটি একটি বড় প্রতিবন্ধকতা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বর্তমানে মাগরিবের নামাজ সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে শেষ হয় জানিয়ে তিনি বলেন, রাত ৮টায় দোকানপাট বন্ধের কারণে প্রায় ৬০-৭০ ভাগ দোকানে বেচাকেনাই শুরু হয় না। গত ২০ জুন থেকে মার্কেট, বিপণিবিতান ও দোকানগুলো রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হচ্ছে। কিন্তু দোকান মালিকদের কর্মচারী খরচ, বিদ্যুৎ বিল ও দোকান ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ ঠিকই বহন করতে হচ্ছে। এতে চরম অর্থ সংকটে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাকি ৯০ শতাংশ পরিবহন ও কৃষি খাতে ব্যবহার হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাত্র ১০ শতাংশ সাশ্রয়ের জন্য সমালোচকদের সমালোচনা করার সুযোগ দেয়ার কোনো যুক্তি নেই। এই লোডশেডিংয়ে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বরং এতে করে ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। শুধু এক-দুই ঘণ্টা অপরিকল্পিত লোডশেডিং কর্মসূচির কারণে পুরো অর্জনকেই প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে।
এ দিন সংবাদ সম্মেলনে লোডশেডিং বন্ধ করা ছাড়াও মার্কেট, বিপণিবিতান ও দোকানপাট দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখা, অফিস টাইম সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব জহিরুল হক ভুঁইয়া, চট্টগ্রাম মহানগরের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালামত আলীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় দোকান মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।