ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন ১২ বছরের দীর্ঘ কারাবাস শেষে বুধবার সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্তি পান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তিনি কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন। কারা উপমহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রফিকুল আমীন মুক্তির পরই ডেসটিনির সদস্য ও কর্মীরা তাকে শুভেচ্ছা জানান। ছাদখোলা প্রাইভেট কারে করে কারাগার ত্যাগের সময় তিনি কর্মীদের দিকে হাত নেড়ে সাড়া দেন।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেন। তবে আদালত রায়ে উল্লেখ করেন, রফিকুল আমীন ইতোমধ্যে ১২ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তাই তার সাজা মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে।
ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনের বিরুদ্ধে মামলা ছিল অর্থ আত্মসাৎ ও বেআইনি অর্থ পাচারের অভিযোগে। ২০২২ সালের ১২ মে ঢাকার আদালত তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই মামলায় ডেসটিনির চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদসহ আরও ৪৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। মামলায় প্রমাণিত হয়, ডেসটিনি সদস্যদের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
রফিকুল আমীন মুক্তি পাওয়ার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ডেসটিনির সদস্যরা কারাফটকে ভিড় জমায়। মুক্তির সময় তারা করতালি ও স্লোগানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান। রফিকুল আমীনের মুক্তি তার সমর্থকদের মধ্যে আনন্দের সঞ্চার করে।
অপরদিকে, তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা রয়েছে কি না, তা যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ডেসটিনির অর্থ আত্মসাতের মামলাগুলো দেশের আলোচিত মামলাগুলোর একটি। মামলার কার্যক্রম দীর্ঘ সময় ধরে চললেও তা শেষ হওয়ার পর রফিকুল আমীন কারাগার থেকে মুক্ত হন।
রফিকুল আমীনের কারামুক্তি নিয়ে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, ডেসটিনির বিরুদ্ধে জড়িত সব ধরনের অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। আবার অনেকে তার দীর্ঘ কারাবাসের জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।
ডেসটিনির কর্মকাণ্ড ও এই মামলাগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিরল উদাহরণ। এ বিষয়ে দেশের বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তার মুক্তির প্রভাব ডেসটিনির বর্তমান কার্যক্রমে কেমন হয়, সেটাও পর্যবেক্ষণযোগ্য বিষয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।