গরুর মাংসের কেজি ৬০০ টাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ২৭শে ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
গরুর মাংসের কেজি ৬০০ টাকা!

গরুর মাংসের দাম আবারো বেড়েছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে কেজিপ্রতি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকায়। মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, গাবতলি গুরুর হাটে চাঁদাবাজি ক্রমেই বাড়ছে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে প্রতিকার চেয়েও কাজ হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে দাম বাড়িয়েছেন। এ ছাড়া বর্তমানে গরুর দামও একটু চড়া। তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। চাঁদাবাজি বন্ধেও নেয়া হবে ব্যবস্থা।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, অনেক গরুর মাংস বিক্রেতা কেজি বিক্রি করছেন ৬০০ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগেও এসব দোকানে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫৭০ টাকা দরে। তবে কোনো কোনো দোকানে এখনো গরুর মাংসের কেজি ৫৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন তারা। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে আলোচনা করেই দাম বাড়িয়েছেন।

অজুহাত হিসেবে তারা বলছেন, এমনিতেই কয়েক দিন ধরে গরুর দাম একটু বাড়তি। চামড়ার দামও অনেক কম। এ ছাড়া দিনে দিনে গাবতলী গরুর হাটে চাঁদার পরিমাণ বাড়ছে। ওই বাজারে একটি গরু বিক্রির জন্য সরকারিভাবে ১০০ টাকা ফি নির্ধারিত থাকলেও চাঁদা দিতে হচ্ছে ৪০০০-৬০০০ টাকা। এ ছাড়া পথে পুলিশকেও মাঝেমধ্যে চাঁদা দিতে হয়।

রাজধানীর কাঁঠালবাগান বাজারের আবদুল বারেক মাংস বিতানের একজন বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নেতারা চাঁদাবাজি করলে সেটা বৈধ আরা আমরা একটু বাড়তি দামে মাংস বিক্রি করলে সেটা অবৈধ। এই নিয়মতো চলতে পারে না। হয় চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, না হলে আমরাও আমাদের মতো করে মাংস বিক্রি করব।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৩ সালের শুরুতে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ছিল ২৫০ টাকা। রমজানে তা বাড়িয়ে ২৭৫ টাকা করা হয়। পরের রমজানে তা ২৮০ টাকা হয়। ২০১৫ সালে ভারত থেকে গরু আমদানি কমে গেলে প্রতি কেজি মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয় ৩৭০ টাকা। ২০১৭’র রমজানে আরেক দফা বাড়িয়ে ৪২০ টাকা হয়। কয়েক দিন পরেই আরও ২০ টাকা বেড়ে ৪৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

তারা জানান, গত বছরের রমজানে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫০০ টাকা। গেল রমজানে ব্যবসায়ীরা হঠাৎ গরুর মাংসের কেজি ৫৫০ টাকায় বিক্রি শুরু করলেই সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তখন প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৫২৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও এই দাম কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। রমজানের পরে বেশির ভাগ বাজারে ৫৬০-৫৭০ টাকা দামে মাংস বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব