সরকারি অনুমতি পাওয়ায় পরও সপ্তাহের শেষ ২ দিন দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।
জানা গেছে, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) এর মেয়াদ গত ২৯ মার্চ মঙ্গলবার ছিলো শেষ দিন। এ কারণে আমদানি কারকরা আগের ( আইপির) সব পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করায়। ফলে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক দিনে ভারত থেকে রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ফলে বন্দরে পর্যাপ্ত পরিমানের পেঁয়াজ মজুত থাকায় গত ২ দিন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও বন্দরে পেঁয়াজের দাম আগের মতো স্বাভাবিক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বন্দরের (গুদাম) আড়ৎগুলোতে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ টাকা দরে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৬ টাকা দরে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৫ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের দাম কম থাকায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
হিলি বন্দরের আমদানি রফতানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে সরকারি অনুমতি ( আইপি) পত্রের শেষ দিন ছিলো গত ২৯ মার্চ মঙ্গলবার। যার ফলে ব্যবসায়ীদের আগের অনুমতির সব পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করায়। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ এর (এলসি) করেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারসহ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন করে সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির সময় বৃদ্ধি করায় ব্যবসায়ীরা পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে আরও বেশি বেশি এলসি করছেন।
তিনি আরও বলেন, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধির কারণে বাজারে দাম কমেছে এবং আড়ৎগুলোতে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ আছে। আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে পেঁয়াজ এর দাম বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, মঙ্গলবার ( ২৯ মার্চ) শেষ দিন ভারতীয় ৬৩ ট্রাকে ৬৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। তবে নতুন আইপি পত্রের কোন পেঁয়াজ গত ২ দিনে হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি হয়নি।
এদিকে পাইকাররা বলছেন, বন্দরে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত থাকায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করার কারণে নতুন এলসির পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছেনা বলে তাদের ধারণা।
হিলি বন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লি: এর জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাফ হোসেন মল্লিক বলেন, সরকার পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে অনুমতি (আইপি) এর সময় বৃদ্ধি করলেও গত মঙ্গলবারের পর থেকে হিলি বন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীরা নতুন (আইপি) পত্রের পেঁয়াজ আমদানি করেনি। নতুন (আইপি) অনুমতি পত্রের পেঁয়াজ আমদানি হলে স্হানীয়সহ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে বলে আশা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।