বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, নিজস্ব প্রতিনিধি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: শনিবার ২৩শে নভেম্বর ২০১৯ ১২:১৫ অপরাহ্ন
বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা

এক যুগে পোল্ট্রি, মৎস্য ও ডেইরি ফিডের কাঁচামালের দাম দিগুন হলেও কমেছে ব্রয়লারের দাম। কাঁচামালের দাম নিয়ন্ত্রন করা গেলেও বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা। ফলে বেকার হয়ে পড়বে কয়েক লাখ তরুন উদ্যেক্তা। এক যুগ আগে ২০০৭ সালে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল একশ টাকা কেজি।কিন্তু এক যুগ পরেও দাম কমে খামার পর্যায়ে বিগত ৪-৫ মাসে বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ১০০ টাকায়। কাঁচামালের দাম বেড়েছে ২৭ থেকে ৩১৬ শতাংশ পর্যন্ত। এক বছরের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানিয়ে ফিড ইন্ডাস্ট্রি মালিকরা বঅ বলেছেন, কাঁচামালের দাম সহনীয় পর্যায়ে না থাকলে পথে বসতে হবে আমাদের। খাঁড়ার ঘা হয়েছে আগাম ও উৎসে কর কাঠামো।

স্পেকট্রা ফিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আহসানুজ্জামান বলেন, বেড়েছে কিছু কিছু জিনিসপত্রের দাম। বিশেষ করে বেড়েছে চাউলের কুড়ার দাম। পোল্ট্রির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ আমিষের চাহিদা পূরণে বিশ্বে প্রথম সারিতে যায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তাই সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে কাঁচামালের দাম নিয়ন্ত্রনসহ কৃষিনীতি সহায়তা দেওয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। মৎস ও প্রাণিসম্পদ সচিব মনে করেন মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে দাম নিয়ন্ত্রন করা সহজ কথা নয়।

বাজার বিশ্লেষক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, ইনকাল ট্যাক্স সহজ লভ্য করা যায় কী না তা বিবেচনা করা দরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, রাতারাতি যে খাদ্যের দাম কেজি প্রতি কমাতে পারব এমন নয়। উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, অন্যদিকে দাম না পাওয়া, এমন চলতে থাকলে পোল্ট্রি শিল্প পুরোপুরি ধ্বংসের পাশাপাশি বিদেশিদের হাতে চলে যাওয়ার শঙ্কা সংশ্লিষ্ঠদের। বর্তমানে এই খাতে নিয়োজিত আছেন প্রায় ৬০ লাখ খামারি।

ইনিউজ ৭১/এম.আর