অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের মতো এত বেশি সুদ বিশ্বের আর কোথাও নেই। আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল-ঋণখেলাপি)। আমি বলেছিলাম ঋণখেলাপি বাড়বে না, বরং সামনে ধীরে ধীরে এর হার কমবে। কিন্তু আপনারা বলছেন এনপিএল বাড়ছে। এনপিএল বাড়ার মূল কারণ সুদের হার। গতকাল রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণ বাড়ছে এটা সত্য, কিন্তু কেন বাড়লো তাহলে এটা বলবো অসত্য। সুদের হার বাড়লে খেলাপি ঋণ বাড়বেই। ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ সুদহার হলে এটা দিয়ে ঋণ গ্রহীতারা কুলাতে পারে না। সুতরাং সুদহার নয় শতাংশ হলে এনপিএল বাড়বে না। আশা করি ১০ বছর পরে আমাদের ব্যালেন্স শিট পরিষ্কার হবে। ব্যাংকঋণে সুদহার কমানো প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সুদহার কমানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হবে। যত জন মেম্বার তিনি (গভর্নর) মনে করেন, কমিটিতে তত জন থাকবে।
যারা রিপ্রেজেন্ট করবে ব্যাংককে, রিপ্রেজেন্ট করবে প্রাইভেট-পাবলিক খাতকে। তাদের সবাইকে নিয়ে গভর্নর একটি কমিটি গঠন করে দেবেন। কমিটি সব বিষয়ে নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেবে কারণ খুঁজে বের করে। আগামী সাতদিনের মধ্যেই তারা এই কাজ করবেন। কীভাবে আমরা সুদহার কমাবো এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য থাকবে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের সুদহার কমবে, পাশাপাশি খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়বে না। ব্যাংক প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা চাই যে উদ্দেশ্যে সরকার ব্যাংকগুলোকে অনুমোদন দিয়েছে সেই জায়গা থেকে তারা কাজ করবে। এনপিএল কমাতে হবে এবং সুদহারও কমাতে হবে।
আমাদের বেসরকারি ব্যাংক অনেক এলাকা কাভার করে। আমাদের দেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। এগুলো সম্ভব হয়েছে আমাদের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কারণে। এসময় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম প্রমুখ।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।