প্রকাশ: ২ জুন ২০২৫, ১৬:৫৬
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জমি কেনাবেচার নিবন্ধন খরচ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এলাকাভেদে এই খরচ দুই শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় স্বস্তির বিষয়।
সোমবার বাজেট ভাষণে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, এবার কাঠার পরিবর্তে শতাংশ হিসেবে নিবন্ধন ফি ও কর নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে আরও স্বচ্ছতা আসবে এবং জনগণের খরচ কমবে।
এক লাখ টাকার জমির ক্ষেত্রে নিবন্ধন খরচ সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা পর্যন্ত কমবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। এটি প্রান্তিক জনগণের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
এছাড়াও, জমি হস্তান্তরের সময় উৎসে কর হার কমানো হয়েছে। বিদ্যমান মূলধনী মুনাফা করের হার ৮, ৬ ও ৪ শতাংশের স্থলে নতুনভাবে নির্ধারিত হয়েছে ৬, ৪ ও ৩ শতাংশ। এটি জমি কেনাবেচার প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে।
অর্থ উপদেষ্টার ভাষ্যমতে, এই প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়ন হলে ভুয়া মূল্যায়ন ও কালো টাকা সৃষ্টির প্রবণতা কমবে। একইসঙ্গে রাজস্ব আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। যার মধ্যে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬২ শতাংশ।
এই ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ ও সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করার পরিকল্পনা নিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলে এই ঘাটতি অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে না।
প্রস্তাবিত বাজেটের নানা দিক নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনার ঝড় উঠেছে। তবে জমির নিবন্ধন খরচ কমানোর সিদ্ধান্তটি দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত।