প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১১:৫৯
ঢাকার খুচরা বাজারে বর্তমানে মাংসের দামে ব্যাপক উত্থান পরিলক্ষিত হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্রয়লার মুরগির দাম সবার মধ্যে তুলনামূলক কম হওয়ায় এটি ভোক্তাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বর্তমানে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম। এই কারণেই মুরগির মাংস এখন অনেকের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার প্রথম পছন্দ হিসেবে স্থান করে নিচ্ছে।
বাজারে সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমে ২৩৫ থেকে ২৬০ টাকার মধ্যে নেমেছে, তবে দেশি মুরগির দাম এখনও ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে অটুট রয়েছে। অন্যদিকে, গরুর মাংসের দাম এখনও আকাশছোঁয়া অবস্থায় রয়েছে এবং এটি অনেক ভোক্তার নাগালের বাইরে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক ক্রেতাই মুরগির প্রতি ঝুঁকছে।
মাছের বাজারেও ভোক্তারা স্বস্তিতে নেই। রুই মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং চিংড়ির দাম ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করছে। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছ কিছুটা কম দামে পাওয়া গেলেও দেশি শিং ও কৈ মাছের দাম যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের এ ধরনের উচ্চমূল্য ভোক্তাদের অনেকেই ছোট ও সস্তা মাছ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
ক্রেতারা জানান, গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে কম দামের ব্রয়লার মুরগি বা পাঙাশ মাছকে খাদ্যতালিকায় স্থান দিচ্ছেন। রামপুরার বাজারে শিরিন আক্তার বলেন, “ছেলেমেয়েরা গরুর মাংস চায়, কিন্তু এখন সেটা কেনা কঠিন। তাই মুরগিই সবচেয়ে সাশ্রয়ী।”
বাজারের মুরগি বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগ মুহূর্তে মুরগির দাম কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারওয়ান বাজারের এক বিক্রেতা জহিরুল ইসলাম জানান, “ব্রয়লারের চাহিদা অনেক বেশি, তাই দাম বাড়তে পারে।” মাংস ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারের দামের ওঠানামা সরাসরি খুচরা বাজারকে প্রভাবিত করে।
বাজার বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, ঈদুল আজহার আগেই মাংস ও মাছের দাম বাড়ার ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ভোক্তারা খাদ্য নিরাপত্তায় প্রভাবিত হবেন। তারা সরকারিভাবে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন যাতে দামের অতিরিক্ত ওঠানামা রোধ করা যায় এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বজায় থাকে।