রপ্তানি আয়ে উত্থান, জানুয়ারিতে নতুন রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌরভ নূর , বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৫:৫৭ অপরাহ্ন
রপ্তানি আয়ে উত্থান, জানুয়ারিতে নতুন রেকর্ড

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ৪৪৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে রপ্তানি আয় ছিল ৪১৯ কোটি ৬৯ লাখ ডলার  


তৈরি পোশাক খাত এবারও রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। জানুয়ারিতে এই খাত থেকে ৩৬৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার এসেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। নিটওয়্যার রপ্তানিতে ১৮৫ কোটি ২ লাখ ডলার আয় হয়েছে, যা ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। ওভেন পোশাক থেকে এসেছে ১৮১ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে  


এদিকে, কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এই খাত থেকে জানুয়ারিতে ৭ কোটি ৮৩ লাখ ডলার আয় হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, হোম টেক্সটাইল খাতে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমেছে। চামড়া পণ্য রপ্তানি থেকে ৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার এসেছে  


অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতগুলোর মধ্যে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে ২৪ দশমিক ২২ শতাংশ, প্রক্রিয়াজাত পণ্যে ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ, হিমায়িত খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে ১০ দশমিক ৫৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে পাটজাত পণ্যে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ  


রপ্তানি প্রবৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের পাশাপাশি কৃষিজাত ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বাজার সম্প্রসারণে সহায়ক হতে পারে  


তবে রপ্তানি আয়ের এই অগ্রগতির পাশাপাশি কিছু খাতের ধীরগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে চামড়া ও টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি কমে যাওয়ায় শিল্প মালিকরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন। সরকারি সহায়তা এবং নতুন বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিলে এই খাতগুলো আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে  


চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে। সামগ্রিকভাবে, রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে