বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্তে ফের ৩০জনকে পুশইন বিএসএফ'র

মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পুশইন চলছেই। জেলার বিভিন্ন সীমান্তে বিজিবির জোরদার টহল থাকা সত্তে¡ বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ফের অবৈধভাবে কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলার সীমান্তে নারী, শিশুসহ আরও ৩০জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুড়াইছড়া সীমান্ত দিয়ে নারী-পুরুষ-শিশুসহ ১৪ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। পরে বিজিবি তাদের আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৬ জন নারী ও ৪ শিশু রয়েছে। সবাই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা। অপরদিকে বৃহস্পতিবার ভোরে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের গানদাইল নামক সীমান্ত দিয়ে নারী-পুরুষ-শিশুসহ ১৬ জনকে পুশইন করে বিএসএফ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুলাউড়া উপজেলার মুরইছড়া সীমান্ত দিয়ে আসা আরও ১৪ জনকে আটক করে বিজিবি। একই দিনে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের গানদাইল সীমান্ত দিয়ে আসা নারীসহ ১৬ জনকে আজ দুপুরে স্থানীয়রা আটক করে বিজিবির কাছে তুলে দেয়। আটকের তথ্যটি নিশ্চিত করে বিজিবি ও পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জীবিকার তাগিদে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন তারা। পরে সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের কাছে সোপর্দ করে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে কুলাউড়া ও বড়লেখা থানায় তাঁদের হস্তান্তর করা হয়েছে।

৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, কুলাউড়া উপজেলার মুরাইছড়া সীমান্তে ১৪ জন এবং বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের গানদাইল সীমান্তে ১৬ জনকে ভারত থেকে পুশ ইন) পুশ ইন করা হয়েছে। তারা সবাই নিজেদের বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করেছেন। আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। তাদের কুলাউড়া থানায় হস্তান্তর করে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে গত ৬ ও ৭ মে শতাধিক মানুষকে বিএসএফ পুশইন করেছিল। এসময় বিজিবি কর্তৃক আটক ৫৯ জনকে যাছাই বাছাই শেষে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে বড়লেখা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বড়লেখা থানা পুলিশ তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।

এছাড়া গত দুই সপ্তাহে জেলার কমলগঞ্জ, কুলাউড়া ও বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে দুই শতাধিক মানুষকে বিএসএফ পুশ ইন করলেও বিজিবি ১১৮ জনকে আটক করে। বিজিবি তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে থানা-পুলিশ তাঁদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।