প্রকাশ: ৪ মে ২০২৫, ১৭:২৬
মে মাসের জন্য দেশে ভোক্তাপর্যায়ে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দাম কিছুটা হ্রাস করা হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা স্বস্তির বার্তা বয়ে এনেছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) রোববার ৪ মে এই নতুন মূল্য হ্রাসের ঘোষণা দেয় এবং জানানো হয় যে তা একইদিন সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১২ কেজি ওজনের একটি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৪৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করে গ্রাহকরা প্রতি সিলিন্ডারে ১৯ টাকা কম দামে গ্যাস কিনতে পারবেন, যা দৈনন্দিন খরচে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুধু এলপি গ্যাসই নয়, অটোগ্যাসের দামেও হ্রাস এসেছে। ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৬৬ টাকা ৪১ পয়সা থেকে কমিয়ে ৬৫ টাকা ৫৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করে প্রতিলিটারে ৮৪ পয়সা কম খরচ হবে যানবাহন মালিকদের, যা পরিবহন ব্যয়েও প্রভাব ফেলতে পারে।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে বিইআরসি এলপি গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত রেখেছিল। তার আগে, মার্চ মাসে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ২৮ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তারও আগে ফেব্রুয়ারিতে দাম বাড়িয়ে তা ১ হাজার ৪৭৮ টাকা করা হয়।
বিইআরসি জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য কমার কারণে দেশীয় বাজারেও এ হ্রাস এসেছে। যদিও এই হ্রাসকে অনেকেই সন্তোষজনক মনে করছেন না, তবে সামগ্রিকভাবে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টা হিসেবে একে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ বরাবরই বেশি। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবারের রান্নার কাজে এই গ্যাস ব্যবহৃত হওয়ায় এর দামের সামান্য পরিবর্তনও তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে।
অটোগ্যাসের দাম হ্রাসে পরিবহন খাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও পুরোপুরি প্রভাব পড়তে কিছুটা সময় লাগবে, তবুও এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিইআরসি আশাবাদী যে ভবিষ্যতে বাজার স্থিতিশীল থাকলে গ্যাসের মূল্য আরও নিয়ন্ত্রিত রাখা সম্ভব হবে এবং ভোক্তারা দীর্ঘমেয়াদে এর সুফল পাবে।