প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৪২
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও তার ভাই মাহবুব আলম মাহি সম্পর্কে গুজব ছড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। বিভিন্ন সূত্র থেকে নানা অভিযোগ ওঠার পর, দুজনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট বনি আমিন একটি ভিডিওতে দাবি করেন, মাহফুজ আলমের ভাইয়ের অস্ট্রেলিয়ান ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন তদন্তাধীন। তিনি আরও বলেন, অর্থটি কমিশন ভিত্তিক লেনদেন এবং মাহফুজ আলম রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে প্রভাব খাটিয়ে ভাইয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার করছেন।
এই অভিযোগের জবাবে মাহবুব আলম মাহি একটি বিস্তারিত ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে ছড়ানো সব তথ্য মিথ্যা এবং গুজবমূলক। তিনি বলেন, তার অ্যাকাউন্ট গত ছয় মাসের বিবরণী প্রকাশ করে দেখিয়েছেন, অ্যাকাউন্টটি সচল এবং সঠিক অবস্থায় আছে। তিনি অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন এবং তার অ্যাকাউন্ট ২০২৩ সাল থেকে খোলা।
মাহবুব আলম আরো বলেন, তার ভাই মাহফুজ আলমের জন্য তিনি কখনো কোনো তদবির করেননি এবং তার পরিবারে কোনো আর্থিক অনিয়ম নেই। তাদের পরিবার দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ব্যবসায় জড়িত। তিনি জানান, তাদের ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলো আইনের আওতায় এবং জনসাধারণের কাছে প্রকাশ্য।
একই সাথে মাহফুজ আলম নিজেও ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে এই বিষয় স্পষ্ট করেন। তিনি জানান, কেউ তার ভাইয়ের সঙ্গে অবৈধভাবে তদবির করতে পারেনি এবং কেউ তার বিরুদ্ধে আর্থিক অসঙ্গতির প্রমাণ দিতে পারেনি। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক মহল ও বিরোধী দল তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
মাহফুজ আলম আরও বলেন, একটি টেন্ডারের জন্য কেউ কমিশন দেওয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি তা নিষেধ করেছেন এবং এই কারণে টেন্ডারটি স্থগিত হয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে জানান, তাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে বিষয়টি প্রচারিত হয়েছে।
এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। মাহফুজ আলম এবং তার ভাইয়ের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, তারা মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। মাহবুব আলম বলেন, গুজব ছড়ানো ব্যক্তি ও মিডিয়া আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইবে।
এই বিতর্ক দেশের রাজনীতি ও সামাজিক মাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রে রয়ে গেছে। পরিস্থিতি কেমন হবে তা সময়ই বলে দেবে, তবে বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও সত্য উদঘাটনের দাবি উঠেছে নানা মহলে।