প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৩৪
সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে আবারও কড়া সমালোচনা করেছেন যুব-ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সাকিবের আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া, শেয়ার বাজারসহ বিভিন্ন আর্থিক কেলেকাংরিতে নাম আসা প্রসঙ্গ তুলে তিনি তীব্র মন্তব্য করেছেন।
আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘ভাইয়া, আমাকে জোর করে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু নির্বাচনটাই করেছিলাম, আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনীতিতে জড়িত হইনি।’ তবে তিনি পরেই লিখেছেন, ‘You know who’, যা সাকিবকে ইঙ্গিত করে।
তিনি আরও মন্তব্য করেছেন, ‘যার হাত ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত, তাকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বোর্ডের কর্তারা রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করতে বললেও তা না করে বরং খুনিদের এনডোর্স করা ছাড়াও শেয়ার মার্কেট কেলেকাংরি, মানি লন্ডারিং, ফাইনানশিয়াল ফ্রডে যুক্ত কাউকে কেন শুধু ভালো ক্রিকেটার বলেই পুনর্বাসন করতে হবে? আইন সবার জন্য সমান, Face it।’
এর আগে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা। বাট আই ওয়াজ রাইট। অ্যান্ড অব দ্য ডিসকাশন।’ যদিও সরাসরি সাকিবের নাম উল্লেখ করেননি, তবুও সবাই বুঝতে পেরেছে পোস্টের উদ্দেশ্য।
সাকিব আল হাসানও বিষয়টি আমলে নিয়ে পালটা পোস্ট করেছেন। রাত ১১টা ২০ মিনিটে তিনি লিখেছেন, ‘যাক শেষমেশ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তার জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হলো না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না! ফিরব হয়তো কোনো দিন আপন মাতৃভূমিতে, ভালোবাসি বাংলাদেশ।’
সাকিব ও আসিফের এই পালটা পোস্টে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে দলে রাজনৈতিক প্রভাব এবং খেলোয়াড়দের অবস্থান নিয়ে তর্ক ও আলোচনায় জড়িয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রীড়া ও রাজনীতির মিলিত প্রভাবের কারণে এ ধরনের উত্তেজনা সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করছে। তবে উভয় পক্ষের মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে।
এদিকে, ক্রিকেট ভক্তরা সাকিবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং তার ফেসবুক পোস্টে একে অপরকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক ও আর্থিক বিষয়গুলোও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।