সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া তৃতীয় ধাপের প্রার্থীরা ফের আন্দোলনে নেমেছেন। রবিবার আন্দোলনের ১১তম দিনে সচিবালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে। সকালে শাহবাগে সমাবেশ করে চারজন প্রতিনিধি আলোচনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যান। বিকেলে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।
জাতীয় জাদুঘরের সামনে সকাল সাড়ে ৯টায় সমাবেশ শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা দ্রুত নিয়োগের দাবিতে একত্রিত হন। দুপুর ১টার পর চারজন প্রতিনিধি মন্ত্রণয়ে যান। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন তালুকদার পিয়াস, জেরিন আক্তার, নাহিদ ইসলাম ও সৌরভ আহমেদ।
শরীয়তপুর থেকে আসা আন্দোলনকারী আলী আযম জানান, মহাসমাবেশ চলমান রয়েছে এবং আলোচনার পাশাপাশি পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। তিনি বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি আদালত আমাদের নিয়োগ বাতিল করে। এরপর থেকেই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। শান্তিপূর্ণ অবস্থান সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেনি যে, নিয়োগ পুনর্বহাল হবে।
তিনি আরও বলেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এখনো সরকার কোনো আপিল করেনি। ফলে আমরা বাধ্য হয়েই রাজপথে আছি এবং সমাবেশ করছি। সরকার যদি দ্রুত সমাধানে না আসে, তবে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এর আগে সচিবালয়ে আলোচনার জন্য যাওয়া প্রতিনিধি তালুকদার পিয়াস জানান, প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সচিবদের সঙ্গে বৈঠক হবে। তারা আশাবাদী যে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে, তবে চূড়ান্ত সমাধান না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বিকেলে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। তাদের দাবি, দ্রুত নিয়োগ কার্যকর না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।