ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে আজ জরুরি সভা আহ্বান করেছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। সভাটি দুপুর সাড়ে ১২টায় উপাচার্য কার্যালয়ের পাশে অবস্থিত সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ঢাবির জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম খান রোববার রাতে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, অধিভুক্ত সাত কলেজের অধ্যক্ষরা সভায় উপস্থিত থাকবেন এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এদিকে, গতকাল সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের অশোভন আচরণের অভিযোগ এনে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় ও টেকনিক্যাল মোড়ে বিক্ষোভ করেন। তাদের এ আন্দোলনের কারণে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে সরাসরি প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ চান।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতা, ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এর ফলে তাদের একাডেমিক জীবন বারবার বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রশাসনের দিক থেকে যথাযথ মনোযোগ না পাওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছেন বলে জানান।
ঢাবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজকের জরুরি সভায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন প্রায়শই আলোচনা ও আশ্বাস দেয়, কিন্তু সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধানে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয় না।
উল্লেখ্য, ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, সেশনজট, ফলাফল প্রকাশে দেরি এবং প্রশাসনিক অসংগতি তাদের শিক্ষা জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তারা বারবার প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের চলমান সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি বড় সমস্যা হলো ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা। প্রায়শই তারা নির্ধারিত সময়ে ফলাফল পায় না, যা তাদের উচ্চশিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে। শিক্ষার্থীদের মতে, একাধিকবার আন্দোলনের পরেও এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হয়নি।
আজকের সভার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান নিশ্চিত হবে বলে আশা করছেন অনেক শিক্ষার্থী। তবে তারা প্রশাসনের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন। শিক্ষার্থীদের মতে, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা থাকলে তাদের মাঝে বিভ্রান্তি কমে যাবে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত আন্দোলনের প্রয়োজন হবে না।
ঢাবি প্রশাসন জানিয়েছে, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া শুনে কার্যকর সমাধানের চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আন্দোলন এড়াতে সমন্বয় বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আজকের সভায় কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা অপেক্ষায় রয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।