বশেমুরবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের হামলা, উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: শনিবার ২৫শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৪:৩১ অপরাহ্ন
বশেমুরবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের হামলা, উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় সমন্বয়ক ওমর শরীফ আহত হয়েছেন। এছাড়া ভিডিও ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।  


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জসিমউদদীন জানান, জুলাই মাসের আন্দোলনে হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সোহাগ পরীক্ষা শেষে বের হওয়ার সময় তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এ সময় সোহাগ ও তার বিভাগের অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতারা হামলা চালিয়ে ওমর শরীফকে আহত করেন।  


ঘটনার সময় উপস্থিত একজন শিক্ষার্থী জানান, ছাত্রলীগ নেতা সোহাগকে আটক করে কথা বলার সময়ই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে সোহাগসহ আরও কয়েকজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিলে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কদের ওপর হামলা চালায়।  


হামলার সময় ক্যাম্পাসে উপস্থিত সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণে বাধা দেওয়া হয় এবং তাদের ওপর শারীরিকভাবে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা আরও বাড়ে।  


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আরিফুজ্জামান রাজিব জানান, তিনি ঘটনার সময় ছুটিতে ছিলেন এবং শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ফোনে বিষয়টি জানতে পারেন। তবে ক্যাম্পাসে ফিরে এসে তিনি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।  


এই ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, এমন ঘটনা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।  


হামলার পর থেকে ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।  


বশেমুরবিপ্রবিতে এই ধরনের হামলার ঘটনা নতুন নয়। তবে এবার সাংবাদিকদের ওপর হামলা হওয়ায় বিষয়টি আরও বেশি সমালোচিত হয়েছে। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে কি না, তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।