বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে যে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর ভারত সফর নিয়ে কোনো গোপনীয়তা নেই। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৈরি হওয়া সমালোচনা ও গণমাধ্যমের কিছু বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনের ব্যাপারে বিজিবি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে বিজিবির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয় যে, এই সফরের তথ্য আগে থেকেই প্রকাশ করা হয়েছে এবং বিষয়টি জনসমক্ষে রয়েছে।
বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ২৭ ডিসেম্বর বিজিবির ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছিল যে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের নয়াদিল্লীতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে দেশের গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে এবং স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই সম্মেলনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বিজিবি আরও জানায় যে, কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর সংবাদ সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার পাশাপাশি জনমনে ভুল ধারণা তৈরি করছে। এমন তথ্যপ্রকাশ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, যা বিজিবির কার্যক্রমকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। বিজিবি পক্ষ থেকে সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট ও গুজব থেকে বিরত থাকতে।
আগামী ১৭ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে বিজিবি প্রধানসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এই সম্মেলনে দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। বিজিবি জানিয়েছে, এই সম্মেলন সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে এবং এতে গোপনীয়তার কোনো সুযোগ নেই।
বিজিবি আরও জানিয়েছে, সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য যেসব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, সেগুলোতে জনগণের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। এ ধরনের সম্মেলন দুই দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
বিজিবি অনুরোধ করেছে, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করে সঠিক তথ্য জানাতে সবাই সচেতন হোন। সম্মেলনের ফলাফল জনসাধারণের সঙ্গে শেয়ার করা হবে এবং এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে যথাযথভাবে অবহিত করা হবে।
এই ধরনের সম্মেলন দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে এবং সীমান্ত সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করবে বলে বিজিবি আশা প্রকাশ করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।