কুড়িগ্রামে রোগাক্রান্ত পশু জবাই, মাংসসহ বিক্রেতা আটক

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহিনুর আলম একটি রোগাক্রান্ত গরু জবাই করেন। জবাই করা গরুর চামড়া ও মাংসে ল্যাম্পি স্কিন রোগের লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি ইন্সপেক্টরকে জানানো হয়। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আবু বক্কর সিদ্দিক উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মাঠকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জিজ্ঞাসা করা হলে মাংস বিক্রেতা ছাড়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে মুচলেকা নিয়ে রোগাক্রান্ত মাংস জব্দ করে মাটি চাপা দিয়ে ধ্বংস করা হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. হোসনে আরা খাতুন জানান, জনবল সংকট থাকায় নিয়মিত অভিযান চালানো সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, “রোগাক্রান্ত পশু জবাই ও বিক্রয় বন্ধ করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ ধরনের মাংস খেলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়ে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকায় উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে রোগাক্রান্ত ও আধমরা পশু জবাই ও বিক্রি হয়। ডা. খাতুন বলেন, “নিয়মিত অভিযান এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া জনস্বাস্থ্য রক্ষা সম্ভব নয়। জনগণও সচেতন হতে হবে।”

এই ঘটনার মাধ্যমে পুনরায় গুরুত্ব পাওয়া গেল বাজারে স্বাস্থ্যবিধি এবং পশুর স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা।