‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠান পালিত হয়।
দিনের শুরুতে উপজেলা চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। পরে উপজেলা পরিষদের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপ জন মিত্র।
সভায় কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল জব্বার, উপজেলা প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকার, কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আজিজুর রহমান সরকার স্বপন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী আলাউদ্দিন মন্ডল, সদস্য সচিব প্রভাষক সহিদুল ইসলাম আকন্দ, সদস্য কাজী নিজাম ও ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাব সভাপতি আনোয়ারুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মৎস্য অফিসার নুরুজ্জামান খান বলেন, দেশি প্রজাতির মাছ শুধু পুষ্টির চাহিদা পূরণেই নয়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বসতবাড়ির আশপাশের পুকুর ও জলাশয়ে মাছ চাষ করলে গ্রামীণ পরিবারগুলো স্বনির্ভর হতে পারে। তিনি জেলেদের উদ্দেশে বলেন, দেশি মাছের বংশ বিস্তার রক্ষায় ড্রাগন ও চায়না জাল ব্যবহার না করার জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।
আলোচনা সভায় বক্তারা দেশি মাছের প্রজনন সংরক্ষণ ও অভয়াশ্রম গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেন। তারা বলেন, দেশি প্রজাতির মাছ আমাদের ঐতিহ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার অংশ। এই মাছ টিকিয়ে রাখতে হলে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে এবং নদী-খালে নির্বিচারে শিকার বন্ধ করতে হবে।
পরিশেষে মৎস্য চাষে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কয়েকজন সফল মৎস্য চাষীকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, দেশি প্রজাতির মাছের সংরক্ষণে সবাই মিলে এগিয়ে আসলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ মাছ সম্পদ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।