প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৫, ১৮:১০
রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৩৩ জনে পৌঁছেছে। শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, এখনও ৫০ জন আহত ব্যক্তি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি জানান, নিহতদের মধ্যে ১৫ জন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে, ১৫ জন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ), একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, একজন লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে এবং একজন ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, কেউ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
একইসাথে আহতদের সংখ্যা দেড় শতাধিক। তাদের মধ্যে অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে ৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, যার মধ্যে ৪০ জন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। বাকিরা সিএমএইচ, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে আছেন।
প্রেস উইং আরও জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মাকিন নামের এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। তার বাড়ি গাজীপুর জেলার কোনাপাড়া এলাকায়।
দুর্ঘটনাটি ঘটে ২১ জুলাই সকাল ১০টার দিকে, যখন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। ওই সময় স্কুলে বহু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এই বিধ্বস্ত বিমানের ঘটনায় পুরো দেশ শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে। নিহত ও আহতদের জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আহতদের দ্রুত সেরে ওঠার জন্য নানা ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা চলছে।
প্রসঙ্গত, এই বিমান দুর্ঘটনা দেশের নিরাপত্তা এবং বিমান বাহিনীর প্রস্তুতি নিয়ে অনেক প্রশ্ন তোলে। এ নিয়ে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে, নিহতদের পরিবারগুলোতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা সরকারের কাছে দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গ ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন। বিশেষ করে আহতদের জন্য যথাযথ চিকিৎসা এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করার আবেদন জানান।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা জাতীয় পর্যায়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জোরদার হচ্ছে।