প্রকাশ: ৩ জুলাই ২০২৫, ১৫:২৩
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতে জুস রপ্তানি শুরু হয়েছে নতুন অর্থ বছরের শুরুতেই। আকিজ গ্রুপ ও হাসেম ফুড নামের দুটি কোম্পানি এই রপ্তানি কার্যক্রমে অংশ নেয়। এতে নতুন বছরে রপ্তানি বাণিজ্যে ইতিবাচক বার্তা দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রায় ১০ টন জুস বোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান ভারতের উদ্দেশে হিলি স্থলবন্দর অতিক্রম করে। এসব জুস গ্রহণ করছে ভারতের কলকাতাভিত্তিক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দিপালী এন্টারপ্রাইজ ও সুকন ডিংকস। এ নিয়ে দুই দিনে দুই ট্রাকে মোট ২০ টন বা দুই হাজার কার্টন জুস রপ্তানি হয়েছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রাশেদ ফেরদৌস জানান, মঙ্গলবার প্রথম চালান রপ্তানির পর বুধবার আরও একটি চালান গেছে। রপ্তানি কার্যক্রমে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আরও কয়েকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান, ফলে ভবিষ্যতে রপ্তানির পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রপ্তানি মূল্য হিসেব করলে এই দুইদিনে প্রায় ১৮ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ জুস রপ্তানি হয়েছে। এতে দেশীয় অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি বন্দরভিত্তিক কার্যক্রমেও গতি আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অর্থবছরের শেষ পর্যন্ত হিলি বন্দর দিয়ে ভারতে কোনো পণ্য রপ্তানি হয়নি। তবে নতুন অর্থবছরের প্রথম দিন থেকেই একাধিক কোম্পানির জুস রপ্তানি হওয়া নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি।
তিনি আরও জানান, ভারত সরকার গত ১৭ মে বেশ কিছু স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ জারি করলেও হিলি স্থলবন্দর সেই বিধিনিষেধের আওতায় পড়েনি।
এই বিধিনিষেধের বাইরে থাকায় হিলি বন্দরের গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। কোম্পানিগুলো এখন এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে এখান থেকে পণ্য রপ্তানিতে আগ্রহী হচ্ছে।
সরকারের রপ্তানি নীতিমালার আওতায় হিলি বন্দর এখন নতুন করে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের জন্যও নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।