প্রকাশ: ১ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৪
কাতারের রাজধানী দোহায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত বাংলাদেশি আম মেলায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে নওগাঁর সাপাহারের সুস্বাদু আম। সুক ওয়াকিফ মার্কেটে ২৫ জুন শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ১ জুলাই পর্যন্ত, যেখানে উত্তরের কৃষি সমৃদ্ধ জেলা নওগাঁর প্রতিনিধিত্ব করছেন সাপাহার উপজেলার তরুণ উদ্যোক্তা ও বরেন্দ্র এগ্রো পার্কের পরিচালক সোহেল রানা। দেশের একমাত্র আমচাষী হিসেবে এই মেলায় অংশগ্রহণ করে তিনি নজর কেড়েছেন কাতারি ও আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের।
মেলায় অংশ নেওয়ার প্রথম পাঁচ দিনেই সোহেল রানার স্টলের অধিকাংশ আম বিক্রি হয়ে যায়। নানা জাত ও স্বাদের নওগাঁর আম কাতারি, বাংলাদেশি, ভারতীয়, পাকিস্তানি ও ইরানি ক্রেতাদের মধ্যে তীব্র আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মেলার মাঠেই আম কিনে খেয়ে মুগ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এই সাড়া প্রমাণ করে, বাংলাদেশি আমের আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।
সোহেল রানা জানান, শুধুমাত্র আম বিক্রি নয়, বরং নওগাঁর আমকে একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, সাত দিনের মেলার পাঁচ দিনেই প্রায় সব আম বিক্রি হয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়। তিনি কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
এই মেলায় সোহেল রানার অংশগ্রহণ শুধু তার ব্যক্তি উদ্যোগের সফলতা নয়, বরং দেশের কৃষি রপ্তানি খাতের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বারও উন্মোচন করেছে। ভবিষ্যতে নিয়মিতভাবে এমন আয়োজন করা হলে বাংলাদেশের আম আরও বহু দেশে পরিচিতি পাবে।
সোহেল রানা জানান, দেশের মাটিতে উৎপাদিত এ সুস্বাদু ফল বিদেশিদের কাছে তুলে ধরতে পেরে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন। তার প্রত্যাশা, দেশের কৃষিপণ্য যেন বিশ্ববাজারে আরও বেশি করে প্রবেশ করে।
নওগাঁর আম দীর্ঘদিন ধরে গুণগত মান ও স্বাদের জন্য সুপরিচিত। এবার সেই খ্যাতি কাতারে পৌঁছে দিয়ে তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে সোহেল রানা প্রমাণ করলেন, সঠিক পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টায় দেশি কৃষিপণ্যও আন্তর্জাতিক বাজারে সম্মান অর্জন করতে পারে।
এমন উদ্যোগ দেশের তরুণ কৃষকদের জন্য এক উৎসাহব্যঞ্জক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, সরকারি সহায়তা অব্যাহত থাকলে এধরনের রপ্তানি কার্যক্রম দেশের অর্থনীতিকে আরও বেগবান করবে।