প্রকাশ: ১ জুলাই ২০২৫, ১১:২৭
দেবীদ্বারে বহু আলোচিত আব্দুল্লাহপুর-বুড়িরপাড় সড়কের কার্পেটিং ঘিরে অনিয়মের অভিযোগের পর এলজিইডি কর্তৃক তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয়ভাবে আলোচিত এই সড়কের কাজ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়—হাসনাত আব্দুল্লাহর হালকা টানেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। এ ঘটনার পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কুমিল্লা অঞ্চল থেকে একটি বিশেষ তদন্ত টিম রোববার ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
তদন্ত টিমের নেতৃত্বে ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুজ্জামান। তার সাথে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মতিনসহ জেলার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষার পাশাপাশি নমুনাও সংগ্রহ করে নিয়ে যান। কাজের মান নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ থাকায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত হয়েছে, তবে এখনো প্রতিবেদন জমা পড়েনি। প্রতিবেদন প্রকাশের পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ জানা যাবে।
উল্লেখ্য, প্রায় ২ হাজার মিটার দীর্ঘ এই সড়কের প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছিল সোয়া ২ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে কাজটি পায় ‘মেসার্স আরতার এন্ড ইয়েষ্টেড ইন্টারন্যাশনাল’। শুরুতে কিছু কাজ হলেও দীর্ঘ ৪ বছর পর গত মে মাসে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করেন সুবিল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের সরকার।
গত ২৩ জুন স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে গিয়ে কার্পেটিং এর মান নিয়ে আপত্তি করেন। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা ও সমালোচনা।
স্থানীয়দের দাবি, বছরের পর বছর ধরে সড়কটি ভোগান্তির কারণ হয়ে আছে। ২০টি গ্রামের মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করে। তাই এই সড়কের মানসম্মত সংস্কার না হলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরে কাজটি শেষ করতে না পারলে আগামী বাজেটে তা আবার অনুমোদন নিতে হবে। তবে প্রশ্ন উঠেছে—জনগণের টাকায় করা এই কাজের মান যদি এমন হয়, তাহলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কবে হবে?