প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ১৮:৩
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিল আমুলা ও নিকলা বিলে মাছের প্রজনন রক্ষায় পরিচালিত অভিযানে নিষিদ্ধ চায়না জাল উদ্ধার করে জনসমক্ষে তা পুড়িয়ে ফেলেছে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার বিকেলে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু আব্দুল্লাহ খান, যার নেতৃত্বে বিলে তল্লাশি চালিয়ে ১৫০০ মিটার অবৈধ চায়না জাল জব্দ করা হয়। পরে উপজেলা চত্বরে উপস্থিত জনতার সামনে তা ধ্বংস করা হয়, যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ একই অপরাধে লিপ্ত না হয়।
অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. রিমা আক্তার এবং থানা পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করেন। অভিযান সম্পর্কে ইউএনও বলেন, যমুনা নদী সংলগ্ন বিল অঞ্চলে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ব্যাহত করছে এসব অবৈধ জাল। তাই সরকার নির্ধারিত আইন ও জনস্বার্থ রক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অভিযানের মাধ্যমে শুধু জাল ধ্বংসই নয়, বরং জনগণের মাঝে সচেতনতা তৈরিও অন্যতম লক্ষ্য ছিল বলে তিনি জানান।
মৎস্য কর্মকর্তা রিমা আক্তার বলেন, ১৯৫০ সালের মৎস্য আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বারবার প্রচার-প্রচারণা চালিয়েও কিছু জেলে এই আইন লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। ফলে বদ্ধ ও মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন হুমকির মুখে পড়ছে। অভিযানের সময় জেলেদের উপস্থিতিও ছিল এবং অনেকেই ভবিষ্যতে এই জাল ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দেন।
স্থানীয়দের মতে, এ ধরনের অভিযান অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং জরুরি। কারণ মাছ ধরা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অবৈধ জালের ব্যবহার বৈধ উপায়ে মাছ ধরাদের হতাশ করে তোলে। ফলে তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন, যা সমগ্র মৎস্যখাতের জন্য ক্ষতিকর। একই সঙ্গে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্যেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এছাড়া স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের অনেকেই জানিয়েছেন, প্রশাসনের এমন উদ্যোগে তারা সন্তুষ্ট এবং চাইলে তারা সচেতনতামূলক প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত। তাদের দাবি, অবৈধ জাল বিক্রয় ও সরবরাহ বন্ধে বাজার পর্যায়েও নজরদারি বাড়ানো উচিত।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাছের প্রজননকালীন সময়ে এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে এবং ভবিষ্যতে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।