প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ১৬:২০
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
হিলিতে সরকারি ভাবে চলতি মৌসুমের বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। সকালে উপজেলা খাদ্য বিভাগের আয়োজনে হিলি সরকারি খাদ্য গুদামে প্রথম চাল সংগ্রহ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়।
অনুষ্ঠানে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন মন্ডল, উপজেলা জামায়াতের আমীর মোঃ আমিনুল ইসলাম, খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খালেদা বানু, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ আরজেনা বেগম, হিলি খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান ও হিলি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামিউল ইসলাম আরিফসহ অন্য সরকারি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা কৃষকদের ধান-চাল হস্তান্তরে সহযোগিতা এবং প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হিলি খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেন।
হিলি সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান জানান, এ বছর বোরো ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ টাকা প্রতি কেজি এবং সিদ্ধ চালের জন্য ৪৯ টাকা প্রতি কেজি। মোট আনুমানিক ৫৪৮ মেট্রিক টন বোরো ধান ও ৪০৯ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের টার্গেট রাখা হয়েছে।
কৃষক মোঃ সালাহ উদ্দিন বলেন, সরকারি দাম অনুযায়ী ধান দিলে তিনি লাভবান হবেন। তবে বিগত বছরগুলোয় দাম থাকলেও সরকারের সংকটজনিত কারণে গুদামে ধান দিতে পারেননি, এতে তাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেছেন, ধান বিক্রির কার্ড নিয়ে সিন্ডিকেটের সদস্যরা বাজার দখল করে হাট-বাজারে ও গুদামে কার্ডের উপর বিক্রি করছেন। এতে প্রকৃত কৃষক ধান দিতে গিয়েও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, গুদামে পৌঁছাতে অতিরিক্ত সময় বাগান ও হাট-বাজারের প্রশাসনিক জটিলতা কাটাতে হবে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়মিত মাঠ তদারকি ও উদ্বৃত্ত ধান গ্রহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা খালেদা বানু জানান, এ পর্যায়ের সিন্ডিকেট নিষ্প্রভ করতে সহযোগিতামূলক টিম গঠন করেছে খাদ্য বিভাগ। মোবাইল নিবিড় তদারকি, কৃষক তথ্য হালনাগাদ ও প waarheid শনাক্তে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
কৃষকদের আশা, এবার ইলুথলি খাদ্য গুদামে সংশ্লিষ্ট সমস্যা না থাকলে তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকারি মূল্য পাবে এবং এলাকার খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি উৎপাদন উদ্দীপিত হবে।