আমির হোসেন আমুসহ অপসোনিন ফার্মার বিরুদ্ধে মামলা

রোববার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দিন মিলন। তিনি বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ১৯৬৫-৬৬ সালের একটি ভুয়া মিস কেস (নং ২৩০/৬৫-৬৬) দেখিয়ে আমাদের জমি বন্দোবস্ত দেখানো হয়েছে। অথচ নলছিটি এসিল্যান্ড অফিসের রেজিস্টারে এই মিস কেসের কোনো অস্তিত্ব নেই।

তিনি দাবি করেন, আমির হোসেন আমু অপসোনিন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের অংশীদার এবং কোম্পানিটির বর্তমান মালিক রাকিব খান ও রউফ খানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তাদের মাধ্যমে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জাল দলিল তৈরি করে সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি দখলে নিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, জমির ভুয়া বন্দোবস্তের ভিত্তিতে বরিশাল সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে দুটি দলিল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিন্তু দলিলগুলোতে যেসব খতিয়ান ও জে এল নং উল্লেখ আছে, তা প্রকৃত জমির সঙ্গে মিলছে না। প্রকৃত জমি জাগুয়া ইউনিয়নের জে এল নং ৫৪ হলেও দলিলে উল্লেখ করা হয়েছে জে এল নং ১২৭, যা সম্পূর্ণ জালিয়াতি।

এছাড়া অভিযুক্ত রাকিব খান ও রউফ খানের বিরুদ্ধে কীর্তনখোলা নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণ এবং নদী ভরাটের অভিযোগও তোলা হয়। এতে করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে এবং স্থানীয় দরিদ্র মানুষের ভূমি হারিয়ে যাচ্ছে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, তারা দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে আদালতে মামলার প্রক্রিয়া চালিয়ে গেলেও অভিযুক্তরা আদালতে হাজির হননি। ফলে তাদের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি আদালতে দুটি মামলা (জি আর ৩১/২৫ এবং সি আর ১৪৭/২৫) চলমান রয়েছে এবং ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জালাল আহমেদ খান, জাহাঙ্গীর খান, সিরাজুল ইসলাম গাজী, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। তারা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে অপসোনিন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের কর্মকর্তা রফিক আহমেদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।