এবারের ঈদ-উল ফিতরের সময়ে দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করার জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাহিদুর রহমান রবিবার (২৩ মার্চ) উপজেলা সভাকক্ষে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, "যদি কোন কাউন্টার থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়, তবে সেই কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হবে।" তিনি আরও বলেন, "এই ধরনের কর্মকাণ্ডে যে জড়িত থাকবে, তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হবে।"
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ঘাটে জেলা প্রশাসকসহ উপজেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের একটি টিম সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকবে। এছাড়া, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঘাট এলাকাতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘাটের তিনটি পয়েন্টে ১৭টি ফেরি এবং ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। ইউএনও জানান, যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার জন্য ঘাট এলাকায় রেকার রাখা হবে, যাতে যানবাহনের কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
এ সময় তিনি আরও বলেন, "বাস ও অন্যান্য যানবাহনের গায়ে রুট স্টিকার লাগাতে হবে এবং তাদের ফিটনেসও ঠিক রাখতে হবে।" ফেরির মধ্যে খাবারের দাম অতিরিক্ত নেওয়া যাবে না এবং ঘাটে মাহিন্দ্রা রাখার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ করা হবে। এছাড়া, ঘাটে যানবাহন অবৈধভাবে রাখলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউএনও আরও বলেন, "এবার যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য প্রশাসন আরও সক্রিয় থাকবে।" দৌলতদিয়া ঘাটের পকেট যানবাহন ও লঞ্চ সার্ভিস নিশ্চিত করতে বিআইডব্লিউটিএ এবং বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। ঘাট এলাকায় দালাল, ছিনতাইকারী, মলমপাড়ি ও যাত্রী হয়রানি রোধে জেলা পুলিশের কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি তদন্ত উত্তম কুমার ঘোষ জানান, "যাত্রী হয়রানি, ছিনতাই, মলমপাড়ি, দালাল, যানজট নিয়ন্ত্রণ রোধে পুলিশ সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে।" তিনি আরও বলেন, "এছাড়া অবৈধ যানবাহন চলাচলে নজরদারি করা হবে এবং ইতিমধ্যে ঘাট এলাকার চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।"
এছাড়া, ঘাট এলাকায় যাত্রীদের সুবিধার জন্য অস্থায়ী টয়লেট, মাতৃদুগ্ধ কেন্দ্র এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে। গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টায় ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।