প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ১১:৫২
বগুড়া সদর উপজেলার ইসলামপুর হরিগাড়ি এলাকায় বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটে। দুর্বৃত্তরা এক পরিবারের তিন নারীর উপর হামলা চালিয়ে দুইজনকে হত্যা করে এবং একজনকে গুরতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেয়। নিহতরা হলেন, এলাকায় মৃত আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী লাইলী বেওয়া (৭০) ও তার ছেলে পারভেজের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২২)। আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আব্দুল কুদ্দুসের অন্য ছেলে বুলবুলের মেয়ে বন্যা (১৮)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়িতে মাত্র কয়েকজন নারী ছিলেন। সেই সময় দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে লাইলী বেওয়া, হাবিবা ইয়াসমিন ও বন্যাকে ছুরিকাঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁরা বাড়ির আশেপাশের লোকজনের নজরে আসেন এবং দ্রুত তাদের উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত লাইলী বেওয়া ও হাবিবা ইয়াসমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
গুরতর আহত বন্যাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। তার অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে। আহত বন্যার পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করা হয়েছে। স্থানীয়রা এ ধরনের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, তবে এখনও হত্যার প্রকৃত কারণ ও আসামিদের পরিচয় জানাতে পারেননি। তিনি জানান, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং দ্রুত খুনিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। পুলিশ প্রশাসন এলাকায় অতিরিক্ত সতর্কতা নিয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা নিরাপত্তা জোরদার এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তারা জনসাধারণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং সহায়তার জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
এই হত্যাকাণ্ডটি এলাকার মানুষের মধ্যে গভীর শোক ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তারা দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি তুলেছেন।