প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২২, ০:৫
ভরা মৌসুমে চালের দাম কম হওয়ার কথা থাকলেও এবারের পরিস্থিতি সে ধারণা পাল্টে দিয়েছে। গেল কিছু দিনে চালের দাম একটু কমলেও চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে চালের দাম আবারও বাড়তে থাকে।
দীর্ঘ ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুমের এ সময়ে ব্রি-২৮ জাতের চালের দাম প্রতি কেজি ৪২ থেকে ৪৪ টাকা ও মিনিকেটের দাম ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা থাকার কথা ছিল। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে সব ধরনের চালেই দাম ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। এটিকে অস্বাভাবিক বলে অবহিত করেছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা ভরা মৌসুমেও চালের এ অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অভিযোগ করলেও পাইকারি ব্যবসায়ীরা চালের দাম কমার কথা বলছেন। তারা বলেন, গত কয়েক দিনে বস্তায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে। বর্তমান ব্রি-২৮ মানভেদে ৪৯ থেকে ৫১ টাকা, মিনিকেট ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা, নাজিরশাল ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা, স্বর্ণা মোটা চাল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এখনো মিলার পর্যায়ে সংকটের অজুহাত অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক কোম্পানি চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ সরবরাহ করে। আবার অনেক কোম্পানি সরবরাহ শুরু করেনি।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতিতে চালের দাম আবারও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
পাইকারি পর্যায়ে গত এক মাসে আটা ও সব ধরনের ডালের দাম ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে। বর্তমানে পাইকারিতে দাম কমে প্রতি কেজি আটা ৩৬ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২৪ টাকা, আমদানি করা মসুর ডাল ৯২ থেকে ৯৭ টাকা, অ্যাঙ্কর ৫৬ থেকে ৫৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি চিনি এক টাকা কমে ৭৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে গমের দাম বেড়ে যাওয়ায় আটার দাম আবারও বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
এদিকে খুচরা পর্যায়ে সব পণ্যই ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। মহল্লার এসব দোকানে যা বাড়ে, তা শিগগিরই কমে না বলে অভিযোগ ক্রেতার। দাম বেঁধে না দেয়ায় ভোগান্তির কথা জানান তারা।
এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তদারকির অভাব রয়েছে বলেও জানান ভোক্তারা।
পাইকারি ও খুচরা বাজারে নিত্যপণ্যের দামের ভারসাম্যহীন অবস্থা চলমান থাকলে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের সুফল ভোক্তারা পাবে না বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।