প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০:৪৪
বহুল আলোচিত ঢাকার পিলখানা হামলার ঘটনায় ৫৭ সেনা সদস্যসহ ৭৪ জন নিহত হয়েছে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা রয়েছেন তা জানতে চান শহীদদের স্বজনরা।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় (পিলখানা হত্যা মামলা) ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা। তবে এ ঘটনার ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আক্ষেপ রয়েছে শহীদদের স্বজনের।
শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলছেন, পিলখানার ঘটনা নিছক কোনো বিদ্রোহের ঘটনা ছিল না। এটি পরিকল্পিত টার্গেট কিলিং। আর এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা কলকাটি নেড়েছে তা খুঁজতে হবে।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল বনানী সামরিক কবরস্থানে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ পরিবারের একাধিক সদস্যের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ আক্ষেপ প্রকাশ জানা যায়।
এ বিষয়ে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ কর্নেল কুদরত-ই-এলাহীর ছেলে অ্যাডভোকেট সাকিব রহমান বলেন, যে কোনো ফৌজদারি মামলার মতোই এ মামলার বিচারকার্য হচ্ছে। এটা পৃথিবীর সর্ব বৃহত্তম ক্রিমিনাল মামলা। স্বাভাবিকভাবেই মামলার বিচার কাজ শেষ হতে সময় লাগবে। এ ঘটনার নেপথ্যে যারা ছিল তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে এ রহস্য উদঘাটনের জন্য আমরা মনে করছি একটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন করা দরকার। এই কমিটির নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে ঘটনার প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করবে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর আর্মি ও বেসামরিক প্রশাসন আলাদা আলাদা দুইটি তদন্ত করেছে। সেই তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। এই তদন্ত প্রতিবেদনগুলো প্রকাশ করতে হবে।
পিলখানা হত্যাযজ্ঞে নিহত মেজর মোস্তফা আসাদুজ্জামানের বড় বোন হোসনে আরা পারভীন বলেন, এ ঘটনার নেপথ্যে কারা গত ১৩ বছরেও চিনতে পারিনি। আমাদের একটাই চাওয়া, আপনজন হত্যাকারীদের যেন বিচার দেখে যেতে পারি।