প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ২১:৫০
কুমিল্লার দেবীদ্বারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহকে হুমকি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটায় পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে নিউমার্কেট এলাকার স্বাধীনতা স্তম্ভের পাদদেশে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী, শহীদ পরিবারের সদস্য এবং সাধারণ ছাত্র-জনতা অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ তন্ময়ের বাবা ও শহীদ মহিউদ্দিনের মা। তাঁরা বলেন, যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ কখনো ভুলে যাওয়া যায় না, আর সেই স্মৃতিকে অপমান করা মানেই জাতিকে অপমান করা। বক্তারা ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এবং হাসনাত আবদুল্লাহর প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
আহত যুদ্ধা তানভীর হাসান তুষার ও ইয়াছিন আরাফাত বলেন, একটি সঠিক এবং সাহসী কণ্ঠস্বরকে দমিয়ে রাখার যেকোনো প্রচেষ্টা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। বক্তৃতায় আরও অংশ নেন জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নাজমুল হাসান নাহিদ, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী নাছির, এনসিপি নেতা শামীম কাউছার, জালাল আহমেদ, এমরান আহমদ ও আসিফ হোসেন ফয়সাল।
তারা বলেন, "হাসনাত আবদুল্লাহ একজন সৎ ও নির্ভীক নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানে দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।" বক্তারা অভিযোগ করেন, যারা কথার মাধ্যমে সত্য তুলে ধরেন, তাদের হুমকি দিয়ে থামানোর চেষ্টা চলছে।
ছাত্রসংসদের নেতা রাকিবুল হাসান রূদয় এবং রাফসান বলেন, এই ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে ভবিষ্যতে গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ আরও তীব্র হবে। তাঁরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
ঘটনার পটভূমিতে জানা যায়, ১৬ মে কুমিল্লায় এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বিএনপিসহ বিভিন্ন দল আওয়ামী লীগের টাকায় চলে। এরপর ১৯ মে কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপি এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলেন। এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে হুমকি প্রদানের প্রতিবাদেই দেবীদ্বারে এই বিক্ষোভের আয়োজন হয়।