প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২১, ২:৪৯
পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় বেরীবাধেঁর বাহিরে থাকা অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগতবন্ধু মন্ডল এ উচ্ছেদ অভিযান চালান। এ সময় কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, কাউন্সিলর শহিদ দেওয়ান, আবুল হোসেন ফরাজী, মনির শরীফ ও মহিপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এনিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। উচ্ছেদ অভিযান না চালানোর জন্য অনুরোধ করেন পৌর মেয়র ও কাউন্সিলররা। অনুরোধ উপেক্ষা করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে তোপের মুখে পরেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এনিয়ে কাউন্সিলর, পৌর মেয়রের সাথে বাকবিতন্ডা হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের। উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানিয়ে আগামীকাল এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ঘুর্নিঝড় ইয়াসে সমুদ্র সৈকতের প্রায় শতাধিক শুটকী ও ঝিনুক ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান ঘর সরিয়ে নিয়ে সী কুইন হোটেলের পুর্ব পাশের মাঠে নিয়ে রাখেন। এসব দোকানের বেশিরভাগই ঢেউয়ের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়। ক্ষতিগ্রস্থ্য ঘরগুলো মেরামত করে তারা অন্যাত্র সরিয়ে যাবেন। এসব ক্ষতিগ্রস্থ্য ঘর মেরামতকালে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ভাংচুর ও উচ্ছেদ করা হয়।
ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, মঞ্জুরুল আলম নামে এক ব্যাক্তি এই জায়গার মালিকানা দাবী করে ভোগদখল করে আসছিলেন। তার অনুমতি নিয়েই তারা এখানে ঘর এনে রেখেছেন।
মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান জানান, সরকারী জমিতে প্রভাবশালী একটি গ্রুপ ব্যাক্তিগত মার্কেট নির্মানের উদ্যোগ নিলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তা ভেঙ্গে দেয়া হয়। তিনি আরও জানান, বেরীবাধেঁর বাইরে কোন স্থাপনা নির্মাণ করা সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছিলো।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র বলেন, সৈকতের ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়ীরা তাদের ভাঙ্গা দোকান মেরামত করছিল। মেরামত শেষে কিছুদিন পর এসব দোকানপাট অন্যাত্র সরিয়ে যেত। অনুরোধ করার পরও এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দেয়া হয়।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগতবন্ধু মন্ডল বলেন, যে জমিতে ঘর তোলা হয়েছিল ওই জমি সরকারী। সরকারের নামে বিএস জরিপ রয়েছে। তাই সরকারী জমি থেকে অবৈধ স্থাপণা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখানে কারও অনুরোধ রাখার সূযোগ নেই।