প্রকাশ: ১ জুন ২০২১, ১৮:২০
সাভারের আশুলিয়ায় বাইপাইল পাইকেরি কাপড়ের নিউ মার্কেট নামের একটি কাপড়ের মার্কেটে বৃষ্টির পানিতে ভিজে ২ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় অবস্থিত ওই মার্কেটে গিয়ে দেখা যায় মার্কেটের ভিতর হাটু পানি।ব্যবসায়িরা জানান বাইপাইলে বৃষ্টির পানি সরার ভালো কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই তাই আমাদের আজকে এই পরিণতি। মহামারী করোনাভাইরাস এর কারণে আমরা ব্যবসা নিয়ে সংকটে আছি। তাই ঈদের পরে নতুন করে স্বপ্ন দেখছিলাম ব্যবসা করার। কিন্তু আজকের বৃষ্টিতে আমাদের সেই স্বপ্ন ধুয়ে মুছে গেছে। চোখে পড়ে দোকানীরা হাটু সমান ময়লা পানিতে ভিজে কাপড়ের থান স্থানন্তর করে শুকানোর চেষ্টা করছেন।
এক ব্যবসায়ীরা জানান আজ সকালের মুষলধারে বৃষ্টিতে মার্কেটে পানি ঢুকে প্রায় ১০-১৫ কোটি টাকার কাপড় ভিজে যায়। আমরা দোকান থেকে কাপড় বের করে শুকাতে দিয়েছি। এই কাপড় শুকিয়ে বিক্রি করলে কমছে কম দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার লোকসান গুনতে হবে।
এসএস এন্টারপ্রাইজ নামের একটি দোকানের মালিক আহসান উল্লাহ বলেন, রাতে আমার দোকানে এক ছোট ভাই থাকে, সে ভোরে আমাকে খবর দেয় দোকানে পানি ঢুকেছে। আমি দোকানে এসে কাপড় গুলো টেনে বের করি এবং তা শুকাতে দেই। এই পানিতে আমার ১৬ হাজার টাকা দামের ৪০-৫০টি থান ভিজে গেছে। এছাড়াও প্রায় শতাধিক ওয়ানপিচ ভিজে গেছে, যার দাম আছে ২০০-২৫০ টাকা। সব মিলিয়ে আমার ৭-৮ লাখ টাকার কাপড় ভিজে গেছে।
ভুইয়া বস্ত্র বিতানের মালিক সেলিম ভূইয়া জানান আমার ছাপা ও এক কালারের প্রায় ৮-১০ লাখ টাকার কাপর ভিজে গেছে, যা শুকিয়ে কমদামে বিক্রি করলেও ২-৩ লাখ টাকার ক্ষতি হবে।
আল সাদিয়া বস্ত্রালয়ের প্রোপাইটার মোঃ আনিস বলেন, আমার পোপনিল কাপড়ের প্রায় ৪০০ থান ভিজে গেছে, যার দাম ১৫০০ টাকা করে। কালার কাপরের প্রায় ৫০০ থান ভিজছে, যার দাম ১৬০০ টাকা করে। তাতে সব মিলিয়ে ১২-১৫ লাখ টাকার কাপড় ভিজে গেজে। যদি শুকিয়ে বিক্রি করতে পারি, তাহলে হয় তো ৩-৪ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হবে। আর বিক্রি করতে না পারলে পুরাটাই ক্ষতি হবে।
মার্কেটের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন ইনিউজ৭১ কে বলেন, সকালে মার্কেটে পানি উঠার খবর পেয়ে ছুটে আসি। এসে দেখি মার্কেটের ১০৩টি দোকান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। সব দোকানীদের ১০-১৫ লাখ টাকার কাপড় ভিজে গেছে। যদি এই কাপড় শুকিয়ে বিক্রি করতে পারে। তাহলে হয় তো ক্ষয়-ক্ষতি কিছুটা কম হবে। তারপরেও সব দোকান মিলিয়ে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার লোকসান গুনতে হবে।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১