কুসুম্বায় বিধবাভাতার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, রহস্য

শ্যামলীর জামাই সুভাষ চন্দ্র বর্মন জানান, প্রায় ৪ থেকে ৫ মাস আগে চৌকিদার জহুরুল তাদের গ্রামে এসে শ্যামলীর ভোটার আইডি কার্ড ও ৫০ টাকা নিয়ে যান বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে। মোবাইল নম্বর দিতে চাইলে তখন তিনি বলেন পরে নিবেন। পরে জানা যায়, শ্যামলীর নামে কার্ড হলেও টাকা চলে যাচ্ছে ০১৭৫৯৭৯৯৪৮০ নম্বরে। বিষয়টি জানার পর তারা স্থানীয় মেম্বার শফিকুল ইসলাম বাবুর কাছে যান। মেম্বার তাদের একটি তালিকা দেখিয়ে নিশ্চিত করেন, কার্ড হয়েছে ঠিকই কিন্তু মোবাইল নম্বর তাদের নয়।

বিষয়টি নিয়ে তারা জহুরুল চৌকিদারের কাছে গেলে তিনি প্রথমে ভুল নম্বরের কথা স্বীকার করলেও পরে ফোন না ধরার অজুহাত দেন এবং বলেন, মাঝে মাঝে ওই নম্বরে কথা বলেন। এতে স্পষ্ট হয় তিনি নম্বরটির মালিক সম্পর্কে জানেন, তবুও পদক্ষেপ নেননি। এমনকি সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি রুক্ষভাবে বলেন, “আপনার কি বাল করার আছে করেন” বলে ফোন কেটে দেন।

ভুক্তভোগী শ্যামলী বালা বলেন, তিনি ধান শুকানোর কাজ করেন এবং তেমন কিছু জানেন না। মেম্বারের কাছ থেকে প্রথম জানতে পারেন তার নামে ভাতার কার্ড হয়েছে। নিজে কোনো মোবাইলে নগদ বা বিকাশ চালু না থাকায় টাকা পাওয়ার সুযোগও নেই।

এ বিষয়ে কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, “আমি অসহায় শ্যামলীর ভাতার কার্ড করে দিয়েছি। কিন্তু চৌকিদার নিজের ইচ্ছেমত মোবাইল নম্বর দিয়েছে। বিষয়টি জানার পর বারবার বলার পরেও সে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।”

উপজেলা সমাজসেবা অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ভুক্তভোগী অফিসে আসলে নম্বর পরিবর্তনের ব্যবস্থা করা হবে।

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।