প্রকাশ: ১৮ মে ২০২১, ১৮:৩২
ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ফেরা অব্যাহত রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কর্মমুখী অসংখ্য মানুষের।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীবাহী মানুষের চাপ বেশী থাকলেও ব্যাক্তিগত গাড়ির চাপ তেমন নেই।গত দুই দিনের মতো মঙ্গলবারও দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের প্রচুর ভির লক্ষ্য করা গেছে। তবে এ নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় যাত্রী ও যানবাহনগুলো অল্প সময়ের মধ্যেই ফেরির নাগাল পাচ্ছে।
কিন্তু প্রতিটি ফেরিতেই উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।এছাড়া বরাবরের মতোই স্বাস্হ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ত্ব উপেক্ষিতই রয়ে গেছে ফেরিতে। প্রচন্ড রোদ-গরমে ফেরির যাত্রীরা অসহনীয় দুর্ভোগ পোহান। ঘাট এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারনে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায় নি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের সংক্ষিপ্ত ছুটি শেষে রোববার হতে খুলে গেছে সরকারি -বেসরকারি অধিকাংশ অফিস। যে কারনে দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা -উপজেলা হতে রাজধানীগামী চাকরিজীবি মানুষেরা কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন।তারা নানা ধকল সামলে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছেন। তবে মোটরসাইকেল বা ব্যাক্তিগত গাড়িযোগে আসা যাত্রীদের অনায়াসেই ঘাটে এসে ফেরিতে উঠে যেতে দেখা গেছে। বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নদী পাড়ের জন্য শতশত মানুষ ফেরিঘাট গুলোতে ভিড় করে আছেন।একটি ফেরি ভেড়ার সাথে সাথে মানুষ গাদাগাদি করে উঠে পড়ছেন।এ সময় অনেককে ফেরি ছাড়ার মূহুর্তেও ঝুঁকি নিয়ে উঠতে দেখা যায়। ফেরিতে প্রচন্ড রোদ - গরমে অবর্ণনীয় দূর্ভোগ পোহান যাত্রীরা। শিশু, মহিলা ও বয়স্কদের অবস্থা ছিল শোচনীয়।
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরি করি। কুষ্টিয়া থেকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বাড়তি ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসি। নদী পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া থেকে কিভাবে ঢাকায় যাবো তা বুঝতে পারছি না। দূরপাল্লার কোন যানবাহন না চলাচর করায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা,মাহিন্দ্র, মটরসাইকেল করে অন্যান্য যাত্রীদের সাথে ঘাট পর্যন্ত ৫০০ টাকা ভাড়া দিয়ে ঘাট পর্যন্ত এসেছি।
ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী ক্ষুদ্র ব্যবসায় সেলিম রেজা জানান, বাড়িতে আসার সময় কার দূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ঈদ শেষ করে কর্মস্থলে রওনা হয়েছি। তবে দূরপাল্লার যানবাহন না চলাচল করায় বাড়তি ভাড়া ও অতিরিক্ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি'র দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ বলেন, ঈদ–পরবর্তী যানবাহন ও যাত্রী পারাপার নির্বিঘ্ন করতে নৌরুটে ১৬ টি ফেরি সচল রাখা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা -উপজেলা হতে বহু মানুষ ও তাদের ব্যাক্তিগত গাড়ি আসছে। তবে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় তাদেরকে ঘাটে বেশি সময় আটকে থাকতে হচ্ছে না।যাত্রী পারাপার নির্বিঘ্ন করতে দিনের বেলায় এখনো পন্যবাহী যানবাহন পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। সেগুলো রাতে পারাপার করা হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১