ভূরুঙ্গামারীতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
শামসুজ্জোহা সুজন , উপজেলা প্রতিনিধি, (ভূরুঙ্গামারী) কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: শনিবার ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
ভূরুঙ্গামারীতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার মানিককাজী এলাকায় ফুলকুমার নদের ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর অবস্থা উদ্বেগজনক। গত নব্বইয়ের দশকে নির্মিত প্রায় ৩৩ মিটার লম্বা ও ২.৫ মিটার প্রস্থের এই সেতু এখন ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। সেতুর পাটাতন ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, রেলিং ভেঙে গেছে এবং একটি পাশ হেলে পড়েছে। এর ফলে সেতুটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ করা হয়েছে এবং এলজিইডি কর্তৃপক্ষ সেতুর সামনে ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু যানবাহন চলাচল নিষেধ’ সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে।


এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করছেন। সেতুর নাজুক অবস্থার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ও দৈনন্দিন কার্যক্রমে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের মানিককাজী, পশ্চিম ভোটহাট, পূর্ব ভোটহাট, এবং জয়মনিরহাট ইউনিয়নের বাউসমারী ও শিংঝাড় গ্রামের লোকজন এ সেতুর ওপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন অনেক শিক্ষার্থীও এই সেতু ব্যবহার করে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। ফলে সেতুটি ভেঙে গেলে শুধু প্রাণহানি নয়, সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।


স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সেতুর মাঝখানে বড় গর্তের কারণে ভোগ্যপণ্য সরবরাহের গাড়ি বাজারে ঢুকতে পারছে না। ফলে তাদের উপজেলা সদর থেকে পণ্য আনতে হচ্ছে, যা সময় ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি করছে। ব্যবসায়ীরা সেতুটির দ্রুত পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।


ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ইছাহাক আলী বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে অনেক আগেই জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মাহমুদুর রহমান রোজেন জানান, সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।


এলজিইডির ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, “সেতুটির বর্তমান অবস্থা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সয়েল টেস্টসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুরাতন সেতুটি সরিয়ে সেখানে নতুন সেতু নির্মাণ করতে হবে।”


স্থানীয় জনগণের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব সেতুটি পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। অন্যথায়, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যা এ অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে।