সার বিতরনে দুর্নীতি করলে জেল-জরিমানা, ডিলারশিপ বাতিল: খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
রিফাত হোসাইন সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
সার বিতরনে দুর্নীতি করলে জেল-জরিমানা, ডিলারশিপ বাতিল: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সারের সংকট আছে বলে মিথ্যা রটিয়ে একটি গোষ্ঠী আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে। তাঁরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাই। সার নিয়ে অহেতুক অস্থিরতা তৈরি করলে কেউই রেহাই পাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।


মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নওগাঁর মহাদেবপুরে ভিমপুর এলাকায় প্রস্তাবিত রাইস সাইলো নির্মাণের মাটি ভরাট কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন মন্ত্রী। 


খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'গত বছরের থেকে এবার সারের বরাদ্দ এক টনও কমেনি, কিন্তু জমির পরিমান কমেছে। এ অবস্থায় সার সংকট হওয়ার সুযোগ নেই। এখানে সার নিয়ে পেনিক সৃষ্টি করা করেছে। এ কারণে যাদের এক বস্তা সার প্রয়োজন তাঁরা দুই বস্তা সার চাই।'


মন্ত্রী বলেন, যাদের সার প্রয়োজন নেই, তারাও ডিলারের কাছে গিয়ে দীর্ঘ লাইন ধরে একটা ঝামেলা তৈরি করে অঘটন ঘটনার চেষ্টা করছে। নওগাঁয় সারের সংকট যাতে না হয় এজন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। কোথাও সারের কোন সংকট নেই।


মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ওএমএস, খাদ্যবান্ধব ও সার বিতরনের সাথে কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করলে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে জেল-জরিমানা, ডিলারশিপ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


নওগাঁয় প্রস্তাবিত অত্যাধুনিক সাইলো সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নওগাঁয় ১৫ একর জমিতে নির্মান করা হচ্ছে প্রায় ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার একটি অত্যাধুনিক সাইলো। ইতোমধ্যেই সেখানে মাটি ভড়াটের কাজ শুরু হয়েছে। সাইলোটি নির্মান সম্পন্ন হলে খাদ্যশস্য ও নিরাপদ মজুতের পাশাপাশি এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয় হবে। অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এছাড়াও এই সাইলোতে দুই বছর পর্যন্ত চাউল মজুদ রাখলে বিবর্ণ ও গুনগত মান নষ্ট হবে না বলেও জানান তিনি। 


এসময় রাজশাহীর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, খাদ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. সহিদুজ্জামান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবিরসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।