কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে রাতের আঁধারে ইরি-বোরো ধানের বীজতলায় আগাছা নাশক ছিটিয়ে দিয়ে বীজতলার চারা নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলা মালিকরা বলছেন পূর্বশত্রুতার জেরে বীজতলার চারা নষ্ট করে ফেলার উদ্দেশ্যে এমনটা করা হয়েছে। বীজতলা মালিকদের পক্ষে জাহিদুল হক বাদি হয়ে ছয় জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। শনিবার দুপুরে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলা পরিদর্শন করেছে।
জানা গেছে, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের মাহিগঞ্জ চান্দুনিয়া (মধ্যপাড়া) গ্রামের প্রায় ২০ জন কৃষকের ইরি-বোরো ধানের বীজতলায় রাতের আঁধারে আগাছা নাশক ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এই বীজতলার চারা দিয়ে প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে ইরিবোরোর চারা রোপন করা যেতো।
বীজতলার মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী, জাহিদুল হক ও আব্দুস সালাম বলেন, বীজতলায় আগাছা নাশক ছিটিয়ে দেওয়ার বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারিনি। বীজতলার চারা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া শুরু হলে শুক্রবার বুঝতে পারি আগাছা নাশক ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাতে বীজতলায় আগাছা নাশক ছিটিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। আগাছা নাশক দিয়ে বীজতলা নষ্ট করে দেওয়ার ইরি-বোরো ধান রোপন করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। কোথাও চারা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। বীজতলা নষ্ট করে কৃষির ক্ষতি সাধনকরা দুর্বৃত্তদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।
বীজতলা নষ্টের অভিযোগে অভিযুক্ত ছাইদুল ও ওসর আলী বলেন, আমরা বীজতলা নষ্ট করিনি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
কৃষি কর্মকর্তা সুজন কুমার ভৌমিক বলেন, বীজতলা নষ্টের কথা শুনেছি, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের থানায় অভিযোগ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি নজরুল ইসলাম কর্মস্থলে না থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ওসি (তদন্ত) আজাহার আলী বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।