প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১৯:১২
গত কয়েকদিন ধরে দেশের অধিকাংশ অংশে তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এই গরমে অনেকেই স্বাভাবিক কর্মজীবন চালাতে কষ্ট পাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক আবহাওয়ার পূর্বাভাসে কিছুটা স্বস্তির খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম বা বিডব্লিউওটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশের দিকে ধেয়ে আসছে একটি শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘রিমঝিম’। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ও মৌসুমি বৃষ্টিবলয়, যা দেশের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টি বইয়ে দেবে। বিডব্লিউটির ফেসবুক পেজে রবিবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিডব্লিউটি জানিয়েছে, ‘রিমঝিম’ চলতি বছরের ষষ্ঠতম বৃষ্টিবলয় এবং এটি দ্বিতীয় মৌসুমি বৃষ্টিবলয় হিসেবে বিবেচিত। এটি আগামী ১৬ জুন থেকে উপকূলীয় এলাকা থেকে শুরু হয়ে ধীরে ধীরে দেশের উত্তর-পূর্ব দিকে সিলেট ও চট্টগ্রামের মাধ্যমে ২৮ জুন পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। দেশের অধিকাংশ বিভাগেই ‘রিমঝিমের’ প্রভাব পড়বে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের নিচু এলাকাগুলোতে ভারী বর্ষণের কারণে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
তাদের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগেও বৃষ্টি বেশ সক্রিয় থাকবে। অন্যদিকে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হলেও তাপমাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে তা কার্যকর হবে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, কালবৈশাখীর ঝড়ের সম্ভাবনা না থাকলেও মাঝে মাঝে বজ্রপাত হতে পারে। এছাড়া বড় ধরনের কোনো ঝড়ের সম্ভাবনা না থাকলেও উপকূলীয় এলাকায় মাঝারি ধরনের দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
মৌসুমি বায়ুর চাপের তারতম্যের কারণে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সমুদ্রসীমান্তে যাত্রী ও জেলেদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই ‘রিমঝিম’ বৃষ্টিবলয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা জনজীবনে স্বস্তি নিয়ে আসবে। তবে বন্যা প্রবণ এলাকাগুলোতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
এই বৃষ্টির প্রভাবে সামগ্রিক আবহাওয়া কিছুটা পরিবর্তিত হলেও সাধারণ মানুষের জন্য সতর্ক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি বাড়াতে বলা হয়েছে। জনসাধারণকেও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যাতে ঝড়ো বৃষ্টির সময় দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।